কক্সবাজারে ভিন্ন স্থানে বিএনপির সংক্ষিপ্ত সমাবেশ—পুলিশি বাধায় পণ্ড

কক্সবাজারে ১৪৪ ধারা জারির কারণে নির্দিষ্ট স্থানে সমাবেশ করতে পারেনি বিএনপি। ঈদগাহ মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হলেও পুলিশি বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালেই ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবি বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল ও জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী।

আরও পড়ুন: ৫০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশের আশা বিএনপির, পাল্টা কর্মসূচি যুবলীগের—কক্সবাজারে ১৪৪ ধারা জারি

বিএনপির কার্যালয়ের সামনে র‌্যাব সদস্যদের সতর্কাবস্থান-আলোকিত চট্টগ্রাম

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, রাতের আঁধারে ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আসায় জনগণের প্রতি সরকারের আস্থা নেই। তাই বিএনপির সাংবিধানিক অধিকারও হরণ করছে তারা।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৪৪ ধারা অমান্য করে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপির সমাবেশের অনুমতি নেই। কিন্তু বিএনপি সমাবেশ করার চেষ্টা করছে। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে জনসভা করতে না পেরে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলা থেকে পথসভায় আসার পথে বাধাপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরা উপজেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে।

কক্সবাজার শহরে একই স্থানে বিএনপি ও যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় রোববার রাতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। সোমবার ভোর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কক্সবাজার শহরে অবস্থিত বিএনপি অফিস সংলগ্ন শহীদ স্মরণী সড়ক ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

পরে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি জানাতে রোববার রাতে পুরো শহরে মাইকিং করা হয়। সোমবার সকাল থেকে জেলা বিএনপির কার্যালয়সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

আরও পড়ুন: ১৪৪ ধারা ভেঙে কক্সবাজারে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

বিএনপির চেয়ারপারসসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কক্সবাজার শহীদ স্বরনী সড়কে আজ (সোমবার) দুপুর ১টায় এই সমাবেশ ডেকেছিল কক্সবাজার জেলা বিএনপি। পরে একই জায়গায় কক্সবাজার জেলা যুবলীগ পাল্টা সমাবেশের ডাক দেয়।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান পিপিএম জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কক্সবাজার শহরের প্রবেশদ্বার থেকে পুরো শহরের প্রতিটি পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে।

বলরাম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!