মধ্যরাতে অস্ত্র নিয়ে ফৌজদারহাটে ওঁৎ পেতে ছিল ১০ ডাকাত

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সক্রিয় ডাকাত দলের ১০ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরি অস্ত্র, গুলি ও ছুরি উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (৮ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাট কালুশাহ মাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

রোববার (৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার।

আটকরা হলেন- নগরের বন্দর থানার আনন্দবাজার এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. বাদশা (২৮), একই থানার কলশি বড়পুল এলাকার মো. লোকমানের ছেলে মো. রাকিব (২৬), হালিশহর থানার সুন্দরীপাড়া এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. শামীম (২৬), বাঁশখালী উপজেলার বানীগ্রাম এলাকার মৃত ওসমান আলীর ছেলে নুরে আলম নুরু (২৬), একই উপজেলার বাহারছড়া এলাকার মো. কামরুল ইসলামের ছেলে মো. মামুন (২২), নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার উত্তর মাছিমপুর এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে মো. হায়দার আলী (২৬), একই জেলার চাটখিল উপজেলার বাংশা এলাকার মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. শাহাদাত (২৫), আনোয়ারা উপজেলার মধ্যম বারখাইন এলাকার শীতল মজুমদারের ছেলে রিমন মজুমদার (২২), সীতাকুণ্ড উপজেলার পাক্কারমাথা এলাকার নুরন্নবীর ছেলে মোর্শেদ খান হৃদয় (২৪) ও বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার সন্ন্যাসী এলাকার মো. শমসের আলমের ছেলে মো. রবিউল রুবেল (২৪)।

আরও পড়ুন: বাকলিয়ায় রড-সিমেন্টের দোকানের পেছনে ঘাপটি মেরে ছিল ৩ ডাকাত

র‌্যাব জানায়, ঈদ উপলক্ষে দূর-দূরান্ত থেকে ঘরমুখী মানুষকে টার্গেট করে মধ্যরাতে ডাকাতির জন্য একদল ডাকাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট এলাকায় অবস্থানের খবরে অভিযান চালানো হয়। এসময় ফৌজদারহাট কালুশাহ মাজার মোড়ের ন্যানো ফ্যাক্টরি করপোরেশনের পাশ থেকে ডাকাত দলের ১০ সদস্যকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও ছুরি উদ্ধার করা হয়।

আটকরা মহাসড়কে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। তারা চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুরে ডাকাতির জন্য সকলে জড়ো হয়েছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। এছাড়া মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহন ও পথচারীকে আটকে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে স্বীকার করেছে তারা।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানায়, তারা সেডান বা মাইক্রোবাসের মতো যানবাহন থেকে ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল। ঈদ উপলক্ষে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে চলাচল করা সাধারণ মানুষ ও ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াতকারীদের টার্গেট করেছিল তারা। তাদের কাছে সীতাকুণ্ড এলাকার এক ব্যবসায়ী নগদ টাকা নিয়ে বায়েজিদ লিংক রোড হয়ে শহরে যাওয়ার তথ্য ছিল। তারা একইদিন ওই ব্যবসায়ীসহ মহাসড়কে আরও ২-৩টি ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল।

তিনি আরও বলেন, আটক ডাকাত দলের ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আটকদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জেএন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!