চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে কোরবান আলী হত্যা মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খোরশেদ আলম ওরফে ইকবালকে (৪৫) ২০ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ফটিকছড়ি থানার জুনিঘাটা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার খোরশেদ আলম ওরফে ইকবাল ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং এলাকার আলী আহম্মেদের ছেলে।
আজ দুপুরে গণ্যমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) তাপস কর্মকার।
র্যাব জানায়, ২০০৩ সালে ৩১ মে দুপুর আড়াইটার দিকে খাবার খেয়ে নিজ খামার বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ভিকটিম কোরবান আলী। এসময় জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে তার ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে বিরোধীপক্ষ। এসময় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে বাঁচাতে ভিমটিমের স্ত্রী এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ঘাতকরা। এসময় স্ত্রীর আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয়রা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় কোরবান আলীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে আমৃত্যু সাজা কাঁধে পালিয়ে থাকা হারুন ঢাকায় ধরা
পরে এ ঘটনায় ফটিকছড়ি থানায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলার পর আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোগনে চলে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ প্রতিবেদন এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রদানের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আসামির অনুপস্থিতিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এরপর আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খোরশেদ আলম ওরফে ইকবালকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব। একপর্যায়ে ফটিকছড়ি থানার জুনিঘাটা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায়, তিনি কোরবান আলী হত্যা মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘ ২০ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছিলেন।
আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) তাপস কর্মকার।
এনইউএস/আরবি