ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, ভিডিও ছাড়ল ফেসবুকে

চকরিয়ায় মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে এক যুবক। সেই ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের দুটি পেজ থেকে পোস্টও করা হয়। যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার বাদী হয়ে রোববার (১ জানুয়ারি) চকরিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। মামলার পর ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ছড়ানোয় অভিযুক্ত যুবক শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৫।

গ্রেপ্তার মো. শাহাদাত হোসেন (৩২) চকরিয়া থানার সাহারবিল ইউপির রামপুর এলাকার মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে।

রোববার বেলা ১২টার দিকে চকরিয়ার রায়পুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী।

আরও পড়ুন: সাতকানিয়ায় স্কুলের টয়লেটের পেছনে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ যুবকের

তিনি বলেন, ভুক্তভোগী সাহারবিল ইউপির রামপুর এলাকায় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার শাহাদাত ভিকটিমকে প্রায়ই প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতো। তার প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় গত বছরের ৯ নভেম্বর মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে এবং সেই ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে। পরে সেই ভিডিও দিয়ে শিক্ষার্থীকে ব্ল্যাকমেইল শুরু করলে তার পরিবার ইউএনও অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন।

এতে শাহাদাত আরও ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে সেই ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। যা রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় গতকাল রোববার ভিকটিমের পরিবার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় র‌্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে। রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চকরিয়ার রামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি শাহাদাত হোসনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। গ্রেপ্তার আসামিকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মুকুল/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!