১৪৫ স্কুলে বসানো হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন।

এরই অংশ হিসেবে ১৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বসানো হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার’। ইতোমধ্যে বেশকিছু স্কুলের কাজ পুরোপুুরি শেষ হয়েছে এবং কিছু স্কুলে কাজ চলমান রয়েছে। চলতি আগস্ট মাসের মধ্যেই সব কাজ শেষ হবে এমনটাই আশা সংশ্লিষ্টদের।

এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে একই বিদ্যালয়সমূহে স্থাপন করা হয়েছিল শহীদমিনার।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপনে বিদ্যালয়ের স্লিপ ফান্ডের বরাদ্দের পাশপাশি ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিয়েছেন সার্বিক সহযোগিতা।তিনি ১৪৫ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৪ কলেজে দিয়েছেন বই উপহার।

আরও পড়ুন: ইয়াবার গডফাদার স্কুলশিক্ষক!

উপজেলার বড় ভেওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলসাদ আঞ্জুমান রুমা বলেন, স্থাপিত কর্ণারগুলো দেখলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সর্ম্পকে জানতে পারবে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

চকরিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তছলিম উদ্দিন বলেন, নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে জাতির পিতার আত্মজীবিনী ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বুক কর্ণার’ স্থাপন করা হয়েছে।

প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বুক কর্ণার স্থাপনের এই মহতী উদ্যোগকে একটি তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন চকরিয়া পৌরসভার কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা (এসএমসি) কমিটির সভাপতি সাংবাদিক এম.জিয়াবুল হক।

আরও পড়ুন: ‘করোনা’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ড. গাজী সালেহ উদ্দিনের জীবন কেড়ে নিল

চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, উপজেলার প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপনের প্রথমধাপ হিসেবে চলতি বছরের ১৬ মার্চ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ ১৪৫ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চারটি কলেজকে বই উপহার দিয়েছেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন বৃত্তান্ত এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতেই প্রতিটি বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বুক কর্ণার’ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । ইতোমধ্যে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত ১৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার’।

তিনি আরও বলেন, ‘এখনো বেশকিছু বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপন কাজ চলমান। আশাকরি আগস্ট মাসের মধ্যেই সবকটা বিদ্যালয়ের কাজ শেষ করা যাবে। পুরোপুরি কাজ শেষ হওয়া বিদ্যালয়গুলোতে গত ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর দিনে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বুক কর্ণার’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।

মুকুল/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!