মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে জখম—মহেশখালীর পৌর মেয়র জেলে

কক্সবাজারের মহেশখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে হত্যাচেষ্টার মামলায় পৌর মেয়র মকছুদ মিয়াকে জেলে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৪ নভেম্বর মহেশখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন গোরকঘাটা বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে ১৫-২০ জনের সন্ত্রাসীর দল তাঁকে খুন করার উদ্দেশ্য কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এক পর্যায়ে ওই এলাকার লিডারশিপ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে তাঁকে ফেলে চলে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধার আত্মীয়স্বজন তাঁকে উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সুস্থ হলে আমজাদ হোসেন বাদি হয়ে পৌর মেয়র মকছুদ মিয়াকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মেয়র মকছুদ হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষে কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত। হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে বুধবার সকালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আলমগীর মো. ফারুকী জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পৌর মেয়রকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন : বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সিএমপির নানা আয়োজন

অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মহেশখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলা ও আরেকটি ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন মেয়র মকছুদ। এরপর আদালতের আদেশে বুধবার সকালে কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান তিনি। ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় জামিন মঞ্জুর করলেও হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে মেয়র মকছুদকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন বলেন, মেয়র মকছুদ মিয়ার সন্ত্রাসী বাহিনী হত্যাচেষ্টার পর বাবা কোনোরকমে বেঁচে আছেন। দীর্ঘদিন পরে হলেও আদালতে সুষ্ঠু বিচার হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে পরিবারের মাঝে।

বলরাম/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!