পটিয়াকে টাইফয়েডমুক্ত মডেল উপজেলা করতে চাই : সিভিল সার্জন 

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, টাইফয়েড এখনো একটি মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা। অসুস্থতার কারণে অনেক শিশু অকালেই বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে, তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। এই টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা শিশুদের দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা দিতে চাই।

রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে পটিয়ায়  টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনে প্রধান অতিধির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভারত, পাকিস্তান, নেপালসহ বিশ্বের বহু দেশে টাইফয়েড টিকা সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। বাংলাদেশেও এর কার্যকারিতা প্রমাণিত। আমরা চাই—প্রতিটি শিশুর কাছে এই সুরক্ষার সুযোগ পৌঁছে যাক।

তিনি বলেন, পটিয়াকে আমরা একটি টাইফয়েডমুক্ত মডেল উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এজন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। অভিভাবক, শিক্ষক, স্বাস্থ্যকর্মী, জনপ্রতিনিধি সবাই একসঙ্গে কাজ করলে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শামিহা রওশনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুল আনোয়ার, পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার বড়ুয়া, এ এস রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোমা চৌধুরী, ডা. শামিমা হাসনাত, ডা. রায়হানুল ইসলাম ও ডা. শুভ্র দেব।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, আজ থেকে শুরু হওয়া জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের জন্য পটিয়া উপজেলায় ১ লাখ ২৫ হাজার ৯৪৮ জনের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ইতোমধ্যে ৮৭ হাজার ৭৩২ জন অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৭০%। এর মধ্যে স্কুল ও মাদ্রাসায় ৬২ হাজার ৮৩৩ জন এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ২৪ হাজার ৫৮ জন নিবন্ধন করেছেন। উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৪০৯টি টিকাদান কেন্দ্রে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে একটি স্থায়ী কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং বাকি ৪০৮টি অস্থায়ী কেন্দ্র। এই বিশাল কার্যক্রমে ১৫৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক অংশ নিচ্ছেন।

ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের টাইফয়েডের বিরুদ্ধে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া। প্রথম পর্যায়ে স্কুল ও মাদ্রাসায় ১০ দিন এবং পরবর্তী ৮ দিন কমিউনিটি কেন্দ্রে টিকাদান চলবে।

উল্লেখ্য, দেশজুড়ে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলা এ কর্মসূচিতে ৫ কোটি শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেএ/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm