৭ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রে কপাল পুড়ল ৭ অপরাধীর

মো. সেফায়েত উল্লাহ চিটাগাং ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলেজির ট্রিপলই বিভাগের ছাত্র। গত ১০ নভেম্বর সেফায়েতসহ ৭ বন্ধু ট্রেনিং শেষ করে দুপুরে পতেঙ্গা থেকে ১০ নম্বর বাসে উঠেন। তাদের গাড়ি দুপুর পৌনে ২টার দিকে আগ্রাবাদ বাদমতল মোড়ে এসে দাঁড়ালে এক পকেটমার সেফায়েতের প্যান্টের পকেট থেকে ২ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। ঘটনাটি দেখে ফেলেন তার বন্ধু ইমদাদুল। এরপর সবাই মিলে ওই পকেটমারকে আটক করেন।

আরও পড়ুন: কর্ণফুলীর মোহনায় ভাসছিল নিখোঁজ স্কুলছাত্র মিজানের লাশ

এদিকে ওই পকেটমারের সঙ্গে তার আরও এক সহযোগীকেও আটক করেন সেফায়েতের বন্ধুরা। শুধু এই দুজন নয়, ওই জায়গায় ছিল আরও ৫ পকেটমার। তবে দুই সহযোগী ধরা পড়েছে দেখে দ্রুত সটকে পড়ে তারা।

এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানায় মামলা হয়। আটক দুজনের কাছ থেকে সেফায়েতের ২ হাজার টাকাসহ ২৫ হাজার টাকার উদ্ধার করে পুলিশ। আটকরা হলেন- মো. ফারুকুজ্জামান প্রকাশ মুমিন (৩৫) ও কাজী হাফিজুর রহমান প্রকাশ সুমন (৪০)।

এদিকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের আটকরা তাদের অপর ৫ সহযোগীর নাম প্রকাশ করে। এরপর তাদের ধরতে অভিযানে নামে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। গত ২২ নভেম্বর (সোমবার) সন্ধ্যা সাড়ের ৭টার দিকে বন্দর থানার নতুন পোর্ট মার্কেটের সামনে থেকে আটক করা হয় মো. সোহাগ শেখ (৩২), মো. আতাউর রহমান (৪০), মো. একরামুল হক (৩৯), মো. আব্দুল কাদের (৫০) ও মো. হাসান মাহমুদকে (৪৪)।

আরও পড়ুন: গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করা হলো স্কুলছাত্রীকে

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আরিফ হোসেন জানান, গ্রেপ্তার হওয়ারা সুকৌশলে নগরের নিম্নমানের আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে চুরির পরিকল্পনা করেন। দিনের বেলায় তারা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের টার্গেট করেন এবং সুযোগ বুঝে তাদের কাছে থাকা অর্থ বিভিন্ন কৌশলে চুরি করেন। এ চক্রটি প্রায় এক মাস চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করছিলেন। এ সময়ের মধ্যে তারা ১৯ দিন নগরের বিভিন্ন জায়গায় চুরির চেষ্টা চালিয়েছেন।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!