সাগরে ডাকাতি করে কামাল বাহিনীর ৫ ডাকাত লুকিয়ে ছিল ইপিজেডে

বঙ্গোপসাগরের হাতিয়া চ্যানেলে জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়কারী আত্মগোপনে থাকা কামাল বাহিনীর প্রধানসহ ৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে অপহৃত চার জেলে ও বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রসহ একটি ট্রলার উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে গোপন সংবাদে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ৫ জন হলেন- নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর থানার চর পানাউল্যাহ এলাকার মনসুর আহমদের ছেলে জলদস্যু বাহিনীর প্রধান মো. কামাল (৩৫), একই থানার মধ্যম ব্যাগ্যা এলাকার মো. মনছুর আহমদের ছেলে মো.নূর নবী (২৬), লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার বয়ারচর এলাকার নুর উদ্দিন মাঝির ছেলে মো. শামীম (২৪), লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার বড়খিরি এলাকার মো. আবুল হোসেন ছেলে মো. এ্যানি (৩১) এবং একই এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. ফেরদৌস মাঝি (৩৫)।

আরও পড়ুন: রাতের অভিযানে নগরের ৩ স্পট থেকে গ্রেপ্তার ৭ ডাকাত

তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে- ১টি একনলা বন্দুক, ২টি ওয়ান শুটারগান, ৩টি রামদা, ৩টি চাপাতি, ১টি ধারালো চাকু, ১টি ক্ষুর ও ১টি ট্রলার।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-হাতিয়া চ্যানেলে গত ১১ ফেব্রুয়ারি জলদস্যু বাহিনী বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারসহ জেলেদের অপহরণ করে ট্রলার মালিকের কাছে ফোনে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নামে র‌্যাব। দীর্ঘ ৭২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের একটি ভবন থেকে অপহৃত চার জেলে ও ৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও জানা যায়, গ্রেপ্তারদের মধ্যে কালাম জলদস্যু বাহিনীর প্রধান। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী জেলেদের অপহরণ করে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে মোটা অঙ্কেন মুক্তিপণ আদায় করা হতো। মুক্তিপণ দিতে অস্বীকৃতি জানালে জেলেদের নির্যাতন, এমনকি হত্যাও করা হতো।

আরও পড়ুন: দুদিনের অভিযানে ধরা পড়ল মহাসড়কে যাত্রীবেশে থাকা ৯ ডাকাত

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি বঙ্গোপসাগরের হাতিয়া চ্যানেল থেকে একটি ট্রলারসহ জেলেদের অপহরণের খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রায় ৭২ ঘণ্টার অভিযান শেষে জলদস্যুরা নগরের ইপিজেড থানা এলাকায় আত্মগোপন করে আছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে আকমল আলী রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ৫ জলদস্যুসহ ৪ অপহৃত জেলেকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, তারা মাঝসাগরে জেলেদের অপহরণ করে ট্রলার মালিককে ফোন করে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় করতেন। টাকা দিতে রাজি না হলে জেলেদের মারধর করে ট্রলার নিয়ে যেতেন। গ্রেপ্তার প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অপহরণের দায়ে একাধিক মামলা রয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এএইচ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!