৪ কিশোরকে বেচে দিয়েছিল মিয়ানমারে, ৫৩ দিন পর যেভাবে ফিরিয়ে আনল বাকলিয়ার পুলিশ

চাকরির প্রলোভনে ৪ কিশোরকে অপহরণের ৫৩ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার লম্বরী ঘাট থেকে তাদের উদ্ধার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।

অপহৃত কিশোররা হলো— আনসারুল করিম (১৬), মনির (১৩), আজিজুর রহমান (১৬), ও মজিবুর রহমান (১৭)।

গ্রেপ্তাররা হলেন— আব্দুল করিম জীবন (১৯), মো. হাসান ওরফে হাকিম বাদশা (২২), মেহেদী হাসান (২৭), মো. হারুন (৩৭) ও নুরুল হক (৪৫)।

পুলিশ জানায়, গত ২ আগস্ট রাত ৮টার দিকে বাকলিয়া থানার বাস্তুহারা এলাকা থেকে ৪ কিশোরকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় মো. আব্দু শুক্কুর বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও টেকনাফ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে কিশোরকে পিটিয়ে খুনের ২৩ বছর পর খুনির জেল

গ্রেপ্তার আসামিরা ভিকটিমদের টেকনাফের মো. হারুনের কাছে বুঝিয়ে দেয়। হারুন টাকার বিনিময়ে পলাতক আসামি সাইফুল ইসলাম সাবুর কাছে পৌঁছে দেয়। সাবু পাচারকারীদের সহায়তায় ভিকটিমদের মিয়ানমারের সামিলা শহরের জুবায়েরের কাছে পাচার করে। এরপর জুবায়ের ভিকটিমদের পরিবারের কাছে ফোন করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। গ্রেপ্তার আসামিদের চাপ সৃষ্টি করলে আজ ভোরে টেকনাফ থানার লম্বরী ঘাটে অপহৃত চার কিশোরকে হাত-পা বেঁধে সমুদ্র পাড়ে ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার (এসআই) মো.আব্দুল কাদের বলেন, চাকরির প্রলোভনে ট্রলারে করে চার কিশোরকে টেকনাফ নিয়ে যায় মিয়ানমারের অপহরণচক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করি। এরপর টেকনাফ থানা পুলিশের সহায়তায় অপহৃত চার কিশোরকে টেকনাফ লম্বরী ঘাট থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করি।

তিনি আরও বলেন, অপহৃত চার কিশোরকে যারা নিয়ে গেছে তারা অপহরণচক্রের সদস্য। ওরা চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে মিয়ানমারের অপহরণচক্রের কাছে বিক্রি করে দিত। এ ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এএইচ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!