৩ মাসেও পৌঁছেনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, রেলের নেতা ঘুরছেন বুক ফুলিয়ে

তিন মাস হতে চললেও এখনও পৌঁছেনি রেলওয়ে শ্রমিক নেতা মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বুক ফুলিয়ে।

চেক ডিজঅনার মামলায় মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানারা জারি করা হয়। সিলেট হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৮-এর বিচারক রাহেলা পারভীন গত বছরের ৪ ডিসেম্বর এ পরোয়ানা জারি করেন।

অভিযুক্ত মো. মিজান আকবর শাহ থানার আকবর শাহ হাউজিং সোসাইটির মো. বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি সিআরবি রেলওয়ে হাসপাতালের স্টুয়ার্ড।

জানা যায়, শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রেলওয়ে শ্রমিক লীগ সিলেট হবিগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক জোনায়েদ মিয়ার কাছ থেকে সাড়ে ২২ লাখ টাকা ধার নেন। পরে টাকা পরিশোধ নিয়ে বিভিন্ন সালিস বৈঠকে মিজান মুচলেকা হিসেবে জোনায়েদ মিয়াকে সাড়ে ৫ লাখ দুটি চেক দেন। মিউচুয়াল ট্রাস্ট্র ব্যাংকের ওই চেক দুটির একটি ৩ লাখ টাকার এবং অপরটি আড়াই লাখ টাকার।

এদিকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গেলে জোনায়েদকে জানানো হয় মিজানের অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। পরে জোনায়েদ বাদী হয়ে ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সিলেট হবিগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ৪ ডিসেম্বর আসামি মো. মিজানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষেরর আইনজীবী মো. আবদুল্লাহ-আল-বাকের বলেন, আমার মক্কেল জোনায়েদ মিয়ার কাছ থেকে ধার নেওয়া টাকার মুচলেকা হিসেবে মিজান ২টি চেক দেন। কিন্তু ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। পরে ডিজঅনার হওয়ায় আদালতে মামলা করি। আদালত আসামি মিজানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার বাদী জোনায়েদ মিয়া বলেন, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ নেতা মিজান আমার কাছ থেকে সাড়ে ২২ লাখ টাকা ধার নিয়ে আর দিচ্ছে না। বর্তমানে ওই টাকা সুদ-আসলে ৩১ লাখ টাকা হয়েছে। আমি আমার টাকা ফেরতে আইনি লড়াইয়ে নেমেছি। আশা করি, আমি আমার টাকা ফেরত পাব।

যোগাযোগ করা হলে আকবরশাহ থানার ওসি ওয়ালী উদ্দিন আকবর আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এই নামে (মো. মিজানুর রহমান) কোনো ওয়ারেন্ট এখনো থানায় আসেনি।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!