২০ লাখ টাকা—স্বর্ণালংকারসহ জাপান প্রবাসীর বউকে নিয়ে পালিয়েছে পুলিশ

নগদ ২০ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ এক জাপান প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কনস্টেবল রিমন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল কুমিল্লার হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত আছেন।

বুধবার (১৮ মে) বিকালে চট্টগ্রামে প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী প্রবাসী সুকুমার বড়ুয়া।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কুমিল্লার হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল রিমন বড়ুয়া আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমাকে ও দুই সন্তানকে ক্রসফায়ারের হুমকি দিচ্ছে। আমার স্ত্রীর সঙ্গে রিমনের অবৈধ মেলামেশা রয়েছে। সন্তানরা দেখে ফেললে আমাকে মুঠোফোনে তা জানায়। এরপর আমি দেশে এসে রিমনকে আমার সংসার না ভাঙার অনুরোধ করি। একাধিকবার অনুরোধের পরেও রিমন বিষয়টি আমলে নেননি। উল্টো আমাকে ও সন্তানদের ক্রসফায়ারে হত্যা করবে বলে হুমকি দেন।

আরও পড়ুন: সন্ধ্যা নামতেই প্রবাসীর ঘরে হানা, নিয়ে গেল ২৫ ভরি স্বর্ণসহ নগদ টাকা

তিনি আরও বলেন, গত ১ মার্চ রিমন আমার স্ত্রীকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাজধানীর সবুজবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। দুদিন অজ্ঞাত স্থানে রাখার পর ৩ মার্চ রিমন আমার স্ত্রীকে আবার ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। এরপর ২২ মার্চ পুনরায় নগদ ২০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ আমার স্ত্রীকে রিমন নিয়ে যায়। সেই থেকে আমার স্ত্রীর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। কিন্তু রিমনের মতো কিছু অসাধু পুলিশের কারণে এ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই আমি এ ঘটনায় সম্পৃক্ত রিমনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

সংবাদ সম্মেলনে সুকুমার বড়ুয়ার মেয়ে পূজা বলে, পুলিশ সদস্য রিমন বড়ুয়া আমার বাবা ও আমাদেরকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমরা গত কয়েক মাস ধরেই মাকে পাচ্ছি না। আমরা আমাদের মাকে ফেরত চাই।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কনস্টেবল রিমন বড়ুয়া আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, গত ১ মার্চ সুকুমার বড়ুয়া সঙ্গে মৌসুমী বড়ুয়ার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর আমি আর মৌসুমী আইন অনুযায়ী বিয়ে করি। হুমকি-ধমকিসহ আমার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

টিবি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!