কেউ মুঠোফোনে ছবি তুলছেন, কেউ করছেন ভিডিও। আবার অনেকে তুলছেন সেলফি। কেউ নিজের সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। কারো আবার জীবনে প্রথম দেখা। এ যেন স্বপ্নকে নিজের চোখে দেখা।
রোববার (৫ নভেম্বর) ২টা ৩৭ মিনিটে ৮ বগির ট্রেন চকরিয়া স্টেশনে পৌঁছার পর দেখা মিলল এমন দৃশ্যের। এরপর এক ঘণ্টা অবস্থানের পর দুপুর ৩ টা ৩৭ মিনিটে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় সেই ট্রেন।
ট্রেন দেখতে আসা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও আমাদের এলাকায় ট্রেন চলছে দেখে খুব ভালো লাগছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথায় নয়, কাজে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ও প্রত্যাশা পূরণ করেন তার জ্বলন্ত প্রমাণ আজকের এই ট্রেন আগমন।
আরও পড়ুন : কবির সেই ট্রেন এবার সত্যি সত্যিই গেল কক্সবাজারে
পূর্ব বড় ভেওলার কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন,আমাদের ইউনিয়নে রেলস্টেশন হওয়ায় সহজে কৃষি পণ্য চট্টগ্রাম ও ঢাকায় নিয়ে যেতে পারব। এছাড়া ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারব।
গৃহিণী আমেনা বেগম ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে এনেছেন রেল দেখাতে। তিনি বলেন, আমার শ্বশুরবাড়ি সাহারবিল ইউনিয়নে। আমাদের এলাকার ওপর দিয়ে রেল যাচ্ছে শুনে দেখতে ছুটে এলাম। আমার জীবনে প্রথম ট্রেন দেখলাম।
প্রসঙ্গত, চকরিয়ায় পৃথক তিনটি রেলস্টেশন করা হয়েছে। এগুলো হলো— হারবাং রেলওয়ে স্টেশন, চকরিয়া রেলওয়ে স্টেশন ও ডুলাহাজারা রেলওয়ে স্টেশন।
এমকেডি/আরবি