স্বপ্নের টানেলে হরতালের কোপ, বিকেল পর্যন্ত ব্যবহার সাড়ে ৬ শতাংশ!

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে শুরু হয়েছে গাড়ি চলাচল। তবে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রভাবে চালুর প্রথমদিনে গাড়ি চলাচল ছিল তুলনামূলক কম।

রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে টানেল দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। এসময় জুয়েল রানা নামে এক ব্যক্তি প্রথম টোল পরিশোধ করে টানেলের আনোয়ারা প্রান্ত থেকে পতেঙ্গা যান।

এর আগে শনিবার (২৮ অক্টোবর) ১১টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে সূর্যোদয়ে স্বপ্নযাত্রা, দুয়ার খুলল বঙ্গবন্ধু টানেলের

জানা যায়, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টানেল দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৭ হাজার ২৬০টি গাড়ি চলাচলের সক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া বছরে ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করতে পারবে।

২০২৫ সাল নাগাদ প্রতিদিন টানেল দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারবে ২৮ হাজার ৩০৫টি। এর মধ্যে অর্ধেক থাকবে পণ্যবাহী গাড়ি। এছাড়া ২০৩০ সাল নাগাদ এ টানেল দিয়ে দৈনিক ৩৭ হাজার ৯৪৬টি গাড়ি চলাচল করতে পারবে। ২০৬৭ সালের মধ্যে প্রতিদিন ১ লাখ ৬২ হাজার গাড়ি টানেল দিয়ে চলাচলে সক্ষম হবে।

টোল প্লাজার প্রাপ্ত তথ্যমতে, আজ সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১ হাজার ১৬১টি গাড়ি টানেল দিয়ে চলাচল করেছে। যা দৈনিক মোট সক্ষমতার মাত্র সাড়ে ৬ শতাংশ। এ সময় গাড়ির টোল বাবদ আদায় হয়েছে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৫ টাকা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস বলেন, আজ ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৫ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে।

সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে প্রতিদিন ১২ ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এজন্য প্রাইভেটকার ও জিপ গাড়িকে টোল বাবদ গুনতে হবে ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ২৫০ টাকা, পিকআপ ২০০ টাকা, ৩১ বা তার চেয়ে কম আসনের বাস ৩০০ টাকা, ৩২ বা তার চেয়ে বেশি আসনের বাস ৪০০ টাকা, ৫ টন ধারণক্ষমতার ট্রাক ৪০০ টাকা, ৫ থেকে ৮ টনের ট্রাক ৫০০ টাকা, ৮ থেকে ১১ টনের ট্রাক ৬০০ টাকা, ৩ এক্সেল ট্রাক ৮০০ টাকা ও ৪ এক্সেল পর্যন্ত ট্রেইলার ১ হাজার টাকা। এছাড়া ৪ এক্সেলের বেশি হলে টানেল পারাপারে প্রতি এক্সেলের জন্য ২০০ টাকা বাড়তি টোল গুণতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি সি চিন পিং এই টানেল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তোলার লক্ষে কর্ণফুলী নদীর দুতীর সংযুক্ত করে টানেলটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

জেএন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!