স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েলের ৮১ কোটি টাকা পরিচালক মঈন উদ্দিনের পকেটে

৮১ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির পরিচালক মো. মঈন উদ্দিন আহমেদকে।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুনশি আব্দুল মজিদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে তিনি জামিন আবেদন করেন।

মো. মঈন উদ্দিন আহমেদ রাজধানীর লালমাটিয়া বি-ব্লক ২১৪ নম্বর বাড়ি সাদেকা হাউসের মরহুম মিনহাজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে। তিনি ১৯৯২ সাল থেকে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ৮১ কোটি ১০ লাখ ৩৪ হাজার ২৯১ টাকা মানি লন্ডারিংয়ে দুদকের মামলায় চট্টগ্রাম স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির পরিচালক মো. মঈন উদ্দিন আহমেদ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠান।

আরও পড়ুন : স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন উদ্বোধন

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মো. মঈন উদ্দিন আহমেদ ১৯৯২ সালের ৯ জুলাই থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা গুপ্তখাল এলাকার স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক পদে দায়িত্বরত ছিলেন। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন এলসির বিপরীতে ট্যাংকার হ্যান্ডলিং চার্জ, কনটেইনার হ্যান্ডলিং চার্জ এবং অন্যান্য চার্জ বাবদ মনগড়া রিকুইজিশন দিয়ে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির কয়েকটি ব্যাংক হিসাব থেকে বিভিন্ন কর্মচারীর মাধ্যমে নগদ ও চেকের মাধ্যমে ৪২ কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। সেই টাকা নিজের ব্যক্তিগত কোম্পানি পিরামিড এক্সিমের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। পরে তিনি স্ত্রী শামীমা আহমেদ ও ডা. হুমায়ূন কবিরের নামে রাজধানীর ভিআইপি এলাকাসহ চট্টগ্রাম নগরে বেশ কিছু ফ্ল্যাট ও গাড়ি কিনেন।

এর আগে ২০১০ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাব থেকে বেলায়েত হোসেন ও মাহমুদুল হকসহ অনেকের নামে চেকের মাধ্যমে নগদে ৩৮ কোটি ৮৫ লাখ ২৯ হাজার ২৯১ টাকা আত্মসাৎ করেন। সর্বমোট ৮১ কোটি ১০ লাখ ৩৪ হাজার ২৯১ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।

মামলা থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের খুলশী ১১৬২ পলিটেকনিক হোস্টেল গেইট এলাকার মো. আবদুল বাকীর ছেলে প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক মো. শাহেদের (মৃত) সহযোগিতায় এসব টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তের পর রাজধানীর দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক (ব্যবস্থাপনা) মো. মাহমুদুর রহমান বাদী হয়ে মঈন উদ্দিনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!