সোহেল নদী রাসেল টুম্পা হারিয়ে গেছে, ২ সঙ্গীতেও খুশি নেই সম্রাট

চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক

চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বার্ধক্যজনিত ও নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে এক বছরে পাঁচটি সিংহের মধ্যে চারটি মারা গেছে। বর্তমানে বেঁচে আছে সম্রাট নামে এক সিংহ।

সম্প্রতি গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক থেকে আরও দুটি সিংহী আনা হয়। সবমিলিয়ে বর্তমানে পার্কে একটি সিংহ ও দুটি সিংহী রয়েছে। তবে সিংহ সম্রাট বাবা-মা হারিয়ে নিভৃতে দিন কাটাচ্ছে বেষ্টনীতে।

পার্ক সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১ বছরে চারটি সিংহ মারা যায় সাফারি পার্কে। বার্ধক্যজনিত রোগে ভোগে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি মারা যায় ২২ বছর বয়সী সিংহ ‘সোহেল’। পার্কে সঙ্গী সম্রাটের সঙ্গে মিলনের সময় আহত ১০ বছর ৮ মাস বয়সী সিংহী ‘নদী’। ‘ফিলাইনলিউকিমিয়া’ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত বছরের ২২ এপ্রিল মারা যায় নদী।

চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি মারা যায় ১৬ বছর বয়সী সিংহ ‘রাসেল’। এই সিংহটি এনাপ্লাজমা ও বিউবমিয়া স্পিসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। একই রোগে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২১ ফেব্রুয়ারি মারা যায় রাসেলের বোন ১৫ বছর বয়সী সিংহী ‘টুম্পা’।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ২০০৫ সালে পার্কে সোহেল ও হীরাকে আনা হয়। এদের ঘরে জন্ম নেয় নদী ও রাসেল নামের দুই সিংহ। এদের ঘরে সম্রাট নামে এক সিংহ জন্ম নেয়। পরবর্তীতে বার্ধক্যজনিত এবং বিভিন্ন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক বছরের ব্যবধানে চারটি সিংহ মারা যায়। বর্তমানে পার্কে সিংহ সম্রাট বেষ্টনীতে রয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের শেষদিকে গাজীপুরস্থ শেখ মুজিব সাফারি পার্ক থেকে আরও দুটি সিংহ আনা হয়। সবমিলিয়ে বর্তমানে পার্কে তিনটি সিংহ রয়েছে। এদের মধ্যে একটি পুরুষ ও দুটি নারী।

তিনি বলেন, এই তিনটি সিংহকে সপ্তাহে ছয়দিন এক বেলা গরুর মাংস দেওয়া হয়। প্রতিটি সিংহের জন্য ৬ কেজি করে গরুর মাংস বরাদ্দ রয়েছে। যা তাদের বিকেলের দিকে বেষ্টনীতে খাবার হিসেবে দেওয়া হয়। সিংহদের শরীরে যাতে চর্বি না জমে সেজন্য সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার তাদের কোন ধরনের খাবার দেওয়া হয় না। পুরুষ আর মহিলা সিংহদের আলাদা বেষ্টনীতে রাখা হয়েছে।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!