চট্টগ্রামে শেষ ভালোতে পর্দা নামল সিটি করপোরেশনের বইমেলার

শেষ হলো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২১ দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলা। শেষদিনে বইমেলায় মানুষের ঢল নামে। বিকেল থেকে জমে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ। এদিন বইমেলা পরিণত হয় লেখক-পাঠকের মিলনমেলায়। এছাড়া বই বিক্রিও অন্যান্য দিনের তুলনায় ভালো হওয়ায় খুশি ছিল অংশগ্রহণকারীরা।

আজ শেষদিনে চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম চত্বরে বইমেলা মঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চিত্রাঙ্কনসহ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, অংশগ্রহণকারী ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রকাশকদের সনদ প্রদান ও সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ স্টলকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, আবহমান বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করতে হলে তাদের হাতে বই তুলে দিতে হবে। আকাশ সংস্কৃতির কবলে বইয়ের জায়গা কেড়ে নিয়েছে অনলাইন সামাজিক মাধ্যম। নতুন প্রজন্মকে গড়তে হলে আমাদের দায়িত্ব নিয়ে ইতিহাস-ঐতিহ্যের বইগুলো তাদের হাতে তুলে দিতে হবে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বইমেলা—ক্রেতার চেয়ে সেলফি তোলার লোক বেশি

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বই মানুষকে সংগ্রামী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, প্রতিটি ঐতিহাসিক সংগ্রামে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে বই ভূমিকা রেখেছে। চট্টলাবাসীর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বইমেলার আয়োজন করেছি। আগামী বছর এ মেলা প্রাঙ্গণ আরও বড় করা হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, বইয়ের চোখে ইতিহাস দেখেন পাঠকরা। বঙ্গবন্ধুর লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়াচীনের মতো বইগুলোর মাধ্যমে পাঠকরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারছেন, বুঝতে পারছেন তৎকালীন ঐতিহাসিক বাস্তবতা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মু. তৌহিদুল ইসলাম।

ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন বইমেলার আহ্বায়ক কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) আবদুল মালেক, কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, মো. আবদুস সালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শাহীন আকতার রোজী, রুমকি সেনগুপ্ত ও হুরে আরা বেগম।

আরও উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মু. আবুল হাশেম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, উপসচিব আশেক রসুল চৌধুরী (টিপু), জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, সিবিএ সভাপতি ফরিদ আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ সভাপতি মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু ও সাধারণ সম্পাদক আলী প্রয়াস।

এআইটি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!