সীতাকুণ্ডে সংবাদপত্র এজেন্ট এসএম ইয়াছিনকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় সংবাদপত্র বিক্রির নিজ অফিস থেকে ডিবি পরিচয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। তবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় সন্ধান করেও সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত তাঁর কোনো হদিস পাওয়া মিলেনি।
জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের মধ্যম সোনাইছড়ি (বারআউলিয়া) গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে সংবাদপত্র এজেন্ট মো. এসএম ইয়াছিন (৫৭)। প্রতিদিনের মতো রোববার সকালেও নিজ অফিসে বসে স্থানীয় হকারদের মাঝে সংবাদপত্র বিতরণের কাজ করেন তিনি। হকাররা তাঁর কাছ থেকে পত্রিকা নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে চলে যান। সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে অফিস থেকে তাঁকে তুলে একটি মাইক্রোবাস ঢাকামুখী সড়কে চলে যায়।
এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পত্রিকার হকার মো. আজিজ। তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, ৬/৭ জন লোক গায়ে ডিবির জ্যাকেট পরে একটি হাইসে বসে ছিলেন। এমনকি যে তিনজন ইয়াছিনকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিচে আসেন তাদের মধ্যেও দুজনের গায়ের ডিবি লেখা জ্যাকেট ছিল।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি—‘ডিবি পুলিশ পরিচয়ে’ ব্যবসায়ীর দেড় লাখ টাকা নিয়ে গেল ৩ যুবক
এদিকে ঘটনার পর থেকে হকার ইয়াছিনের ব্যবহৃত নম্বরটিতে (০১৮১৭-২৪১৬৯৯) ফোন করলে সেটি ব্যস্ত দেখায়। সারাদিনই এই নম্বরটি ব্যস্ত দেখাচ্ছে। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকে ইয়াছিনে মেঝ ভাই মাস্টার মো. মাহবুবুর রহমানসহ স্বজনরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে যোগাযোগ করলেও কোথাও তাঁর সন্ধান মেলেনি বলে জানায়।
এজেন্ট ইয়াছিনের ভাই মাস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে আমার বড় ভাইকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর পাই। এরপর থেকে আমরা তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। তার স্ত্রী, ২ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারা সবাই পাগলের মতো কাঁদছে এবং দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের কোনো সান্তনাও দিতে পারছি না। কারা, কী উদ্দেশ্যে আমার ভাইকে তুলে নিয়ে গেল সেটি বুঝতে পারছি না।
আরও পড়ুন: সেই ‘ডিবি পুলিশের’ পকেটে ছিল প্রেস কার্ড
ঘটনার বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ডিবি পরিচয়ে যেহেতু তাকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন তাই আমরা ডিবির বিভিন্ন কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছি। কোথাও তাঁর সন্ধান পাইনি।
তবুও ডিবির কোনো কার্যালয় থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিনা এর অপেক্ষায় আছি। ইয়াছিনের মোবাইল নম্বরটিতে কল করলে সেটি ব্যস্ত দেখাচ্ছে। তারপরও আমাদের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে এবং তদন্ত চলছে।