সীতাকুণ্ডে রাতের আঁধারে শিপব্রেকিং ইয়ার্ড দখল—২ মামলা গড়াল থানায়

সীতাকুণ্ড সোনাইছড়ি ইউনিয়নের আলী শিপব্রেকিং ইয়ার্ড রাতের আঁধারে দখল করে টিনের ঘেরা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দখলে বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন ৬ নিরাপত্তাকর্মী।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

হামলায় আহতরা হলেন- নিরাপত্তা প্রহরী মো. আলম, কুতুব উদ্দিন, মো. জহির, মো. শফি, আলী ও মো. আনোয়ার।

আরও পড়ুন: শিপব্রেকিং ইয়ার্ড ধ্বংস করে ইস্পাত শিল্পের অগ্রগতি থামানোর ষড়যন্ত্র চলছে

এদিকে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) শিপ ইয়ার্ড দখলের ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। আলী শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের পরিচালক মো. মাসুদ রানা বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় এমএ শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিক মো. মাহবুবুল আলম, পরিচালক নঈম উদ্দন, ম্যানেজার মো. বাহাদুর খাঁন, সুপারভাইজার মো. ফোরকানসহ ৬০/৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অপরদিকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে অপর মামলাটি করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. নুরুল আহসান বাদী হয়ে এমএ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিক মাহবুবুল আলম, আনোয়ারুল আলম ও শরীফকে আসামি করে মামলাটি করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. নুরুল আহসানসহ আরও কয়েকজনকে ঘটনাস্থলে পাঠান সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে মো. আশরাফুল আলম। কিন্তু তাদের ইয়ার্ডে প্রবেশে বাধা দেয় মালিক মাহবুবুল আলম ও সেফটি অফিসার মো. শরীফ। পরে এসিল্যান্ড তাদেরকে ফোন করলে ভেতরে ঢুকতে দিলেও জায়গা পরিমাপ, ছবি তুলতে বাধাসহ নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে তাদের হুমকিও দেওয়া হয়। এরপর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বাধ্য হয়ে সেখান থেকে ফিরে আসেন।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়া সাগর উপকূলের আলী স্টিল এন্টারপ্রাইজ নাের একটি শিপ ইয়ার্ডের জায়গা ও মালামাল দখল এবং সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে এম এ শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে হঠাৎ বিস্ফোরণ, আগুনে পুড়ল ৪ শ্রমিক

জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইয়ার্ডের মালিক মো. মাহবুবুল আলম বলেন, আমাদের ইয়ার্ডের কিছু জায়গা পাশের আলী শিপ ইয়ার্ডে রয়েছে। এ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়, কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি । তাই বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের জায়গাটি দখলে নিয়েছি।

যোগাযোগ করা হলে সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় এমএ শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। দখলের অভিযোগ মীমাংসায় উভয়পক্ষের নথিপত্র দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ জবর দখল করে কারো জায়গা দখলে নিতে পারে না। আশা করছি এই ঘটনায় সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাধান হবে।

এসএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!