লজ্জার হারে ‘বাংলাওয়াশ’র স্বপ্নের সমাধি

চট্টগ্রামে ভারতকে ‘বাংলাওয়াশ’ করার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল টাইগার বাহিনীর। এর আগে ২০১৫ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেছিল ভারত। সেবারও সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ। তবে ‘বাংলাওয়াশ’ করতে পারেনি ভারতকে৷ ৭ বছর পর ফের পূর্ণাঙ্গ দল নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে আসে ভারত। এবারও টাইগাররা ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতে নেয় প্রথম দুম্যাচ জিতে। কিন্তু বাংলাওয়াশ করার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না টাইগারদের৷ তৃতীয় ওয়ানডেতে হেরেছে ২২৭ রানের বিশাল ব্যবধানে।

সাগরিকা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরুতেই মিরাজের বলে লিটনের ক্যাচ মিসে বিরাট কোহলি তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪৪তম সেঞ্চুরি। তিনি ৯১ বলে ১১৩ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি এনে দেন দলকে।

বিরাটের সঙ্গী হয়ে নতুন কীর্তি গড়েন নবাগত ঈশান কিশান। ওপেনিং করতে নামা এ তরুণ গড়েন ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড। তবে ঈশান– কোহলির ব্যাটিং ঝড় থামার পর বাকিরা আর তেমন সুবিধা করতে পারেনি। শেষদিকে ওয়াশিংটন সুন্দর ২৭ বলে ৩৭ রান করেন। তবে এর মধ্যেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ভারতের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৪১০ রান।

আরও পড়ুন: ক্রাইস্টচার্চের বড় হারে প্রাপ্তি লিটনের দুর্দান্ত ইনিংস

হারে

ভারতের ব্যাটিং তাণ্ডবের দিনে বোলিং-ফিল্ডিং কোনোটিতেই সুবিধা করতে পারেনি টাইগাররা। ৯ ওভার বল করে ৮৯ রানে ২ উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। সাকিব মুস্তাফিজরাও এদিন জ্বলে উঠতে পারেননি।

৪১০ রানের পাহাড় টপকাতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় টাইগাররা। প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬৬ রান। আক্সারের বলে সিরাজকে ক্যাচ দিয়ে ৭ বলে ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন টাইগার ওপেনার এনামুল হক বিজয়। এরপর লিটনও বেশিদূর এগোতে পারেননি। তিনি ২৬ বলে ২৯ রান করে সিরাজের বলে আউট হন। এসময় বাংলাদেশকে বাঁচাতে একাই লড়েন সাকিব আল হাসান। অর্ধশত বলে ৪৩ রানে আউট হন সাকিব। নাজমুল হোসেন শান্তর পরিবর্তে দলে আসা ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি ৩০ বলে করেন ২৫ রান।

২৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ যখন ১৩৪ তখনই নেই ৫ উইকেট। রানখড়ায় ভুগতে থাকা আফিফ হোসেন ধ্রুব উমরান মালিককে ক্যাচ দিয়ে ১২ বলে ৮ রান করে আউট হন। এরপর আর কেউ বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। শেষ ভিরসা ছিল মিরাজ। কিন্তু ২৮ ওভারের শেষ বলে কুলদ্বীপের বলে তিনিও আউট হয়ে যান। ভেঙে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩৪ ওভারে অলআউট বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে তখন ১৮২। অর্থাৎ ২২৭ রানে বিশাল ব্যবধানে লজ্জার হার।

এদিকে বাংলাদেশের খারাপ ব্যাটিংয়ের দিনে ভারতীয় বোলাররা ছিল উজ্জ্বল। ৫ ওভার বল করে সবচেয়ে কম ইকোনমিতে ২ উইকেট নেন আক্সার পাটেল। শারদিল ঠাকুরও নেন ২ উইকেট।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!