রাবার কারখানার বিষাক্ত কেমিক্যালে লামায় কৃষকের মাথায় হাত, মরছে মাছ

লামায় রাবার কারখানা থেকে নির্গত কেমিক্যাল বর্জ্য ও নোংরা পানির কারণে দূষণ ও দুর্ভোগ বাড়ছে। উপজেলার আজিজনগরে অর্ধশতাধিক গ্রামের ফসলের মাঠ, খাল-বিল ও জলাশয় কারখানার বিষাক্ত পানি আর বর্জ্যে সয়লাব। এলাকার বেশিরভাগ জমিতে ফসল হচ্ছে না। মরছে নানা প্রজাতির দেশি মাছ।

এদিকে খাল, বিল, নালা ড্রেন ছাড়িয়ে দূষিত হচ্ছে নদীও। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বেড়েছে নাগরিক দুর্ভোগ। তবে এসব সমস্যা সমাধানের স্থায়ী কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কারো। ফলে এলাকার বাসিন্দারা এখন দিশেহারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আজিজনগর খাল হয়ে ছোট-বড় ড্রেন-খালের পানি মাতামুহুরী নদীতে ঢুকছে। রাসায়নিক কেমিক্যালের বিষাক্ত তরল বর্জ্য উত্তর এলাকার গ্রামগুলোর কৃষি জমি, খাল-বিল, নদী-নালা ও জলাশয়ের পানিতে গিয়ে মিশছে।

আরও পড়ুন: লামায় ঘরে বসে ইয়াবা বেচে ৩ যুবক, হাতেনাতে ধরল পুলিশ

এছাড়া রোড়পাড়া এলাকার সড়কের পাশের বিশাল খোলা নর্দমায়ও পড়ছে রাবার কারখানার কেমিক্যাল বর্জ্য। বিষাক্ত বর্জ্যের উৎকট দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম স্থানীয়দের। এলাকার লোকজনকে নাক চেপে ও রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, লাইসেন্সহীন ওই রাবার শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক খরচ কমাতে দিন-রাত কারখানার বর্জ্য শোধন ছাড়াই সরাসরি খাল-বিল ও নালায় ছাড়ছেন। ফলে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। দুর্গন্ধে অনেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

এলাকার ব্যবসায়ী মো. এনামুল হাসান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যেই রাবার কারখানার বর্জ্য আজিজনগর খালে পড়ছে। পুরো এলাকা দুর্গন্ধময়। দোকানে বসে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার পরিবেশ নেই। সবাই দেখছেন কিন্তু যাদের দেখার কথা তারা অন্ধের ভূমিকা পালন করছেন।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ হলে পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের সহকারী পরিচালক মো. ফখর উদ্দিন চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে ছিল না। দ্রুত সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে। পরিবেশ দূষণমুক্ত করার পাশাপাশি অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!