রমজানের অফার—বিদেশ থেকে ৮ পণ্য বাকিতে আনতে পারবেন ব্যবসায়ীরা

আগামী রমজানে খাদ্য সরবরাহে ঘাটতি রুখতে ব্যবসায়ীদের ৮ পণ্য বাকিতে আমদানির সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পণ্যগুলো হলো- ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি ও খেজুর।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি ও খেঁজুর— এই ৮ পণ্য ব্যাংকে সাপ্লায়ার্স ও বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় ৯০ দিনের মধ্যে অর্থ পরিশোধের চুক্তিতে বাকিতে আমদানি করা যাবে। এই সুবিধা ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে খোলা প্রত্যয়নপত্রের (এলসি) ক্ষেত্রে কার্যকর থাকবে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রতি রমজানের আগে ব্যবসায়ীরা পণ্যের সরবরাহ ঘাটতির কারণ দেখিয়ে ভোজ্যতেল, ছোলাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলে বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে রমজান মাসে দেশের বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করে। তাই আগামী রমজানে এসব নিত্যপণ্যের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুন: রমজানের বাজার গরম—ফায়দা লুটতে ‘ফাঁদ’ পেতেছে নামিদামি মার্কেটও

এর আগে রোববার (১১ ডিসেম্বর) রমজানে চাহিদা বেড়ে যায় এমন খাদ্যপণ্য আমদানির শর্ত সহজ করার জন্য অন্যান্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, আগামী রমজানে খাদ্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত ও সেসব পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। তাই রমজানে অতি প্রয়োজনীয় পণ্য ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি ও খেঁজুর আমদানির ঋণপত্র খোলায় নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার/গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে হবে।

এদিকে সম্প্রতি ডলার সংকটের কারণে ঋণপত্র খোলায় ব্যবসায়ীদের প্রতি কড়াকড়ি আরোপ করে ব্যাংকগুলো। বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমাতে আমদানি নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি করায় এলসি খোলার হার ব্যাপকভাবে কমে আসে। গত মাসে (নভেম্বর) এলসি নিষ্পত্তির পরিমাণ ৫ বিলিয়ন ডলারে নামে। অথচ গত বছরের প্রত্যক মাসেই ছিল ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

এছাড়া নতুন এলসি খোলার হার ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে আসে। তবে আগামী মাসের (জানুয়ারি) মধ্যে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির হার আগের পর্যায়ে চলে আসবে বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে এক সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ব্যাংকগুলো যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব খাদ্যপণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহ না দেখায়। এছাড়া আমদানি মূল্য পরিশোধে ডলার সংকট হলে ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বারস্থ হওয়ারও পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই গভর্নর।

জেএন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!