যুবকের গায়ে ছুরির দাগ দেখে পাহাড়তলীর ওসিকে শোকজ, আড়ালে অন্য কিছু

নগরের একেখান এলাকায় অবৈধভাবে দখলে রাখা অস্থায়ী বাস কাউন্টার দখল করতে বর্তমান এজেন্টকে মারধরসহ দুজনকে ছুরিকাঘাত করে নুর মোস্তফা রিপন। এ অস্থায়ী বাস কাউন্টারের বর্তমান এজেন্ট মো. রিফাত এ বিষয়ে পাহাড়তলী থানায় মামলা দায়ের করলে রিপনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে থানা পুলিশ। এ মামলায় আসামির মেডিকেল সার্টিফিকেট আদালতে দেওয়ায় শোকজ করা হয়েছে পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমানকে।

আদালতে আহতদের মেডিকেল সার্টিফিকেট না দিয়ে আসামির মেডিকেল সার্টিফিকেট কেন দেওয়া হলো জানতে চাইলে ওসি মো. মুস্তাফিজুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ছুরিকাঘাতে আহত দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন হাসপাতালে ভর্তি ছিল। হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের পর বাড়ি ফেরার সময় ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু গত ৬ অক্টোবর তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেন। তার হাসপাতালের ছাড়পত্রও গতকাল পেয়েছি। এ ছাড়পত্র আগামীকাল রোববার (৮ অক্টোবর) আদালতে দাখিল করা হবে।

তিনি আরও বলেন, গত ১ অক্টোবর নুর মোস্তফা রিপনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। রিপনকে গ্রেপ্তারের সময় তার হাতে থাকা মেডিকেল সার্টিফিকেট আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া কী বিষয়ে শোকজ করা হয়েছে সে কাগজ আমি এখনও পাইনি।

এদিকে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে মারামারির ঘটনার পর ছুরিকাঘাতে আহত মো. আব্দুল্লাহ সেদিনই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরলেও অপর আহত ব্যক্তি রবিউল আলম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলে জানান মামলার বাদী মো. রিফাত। তিনি আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, একেখান মোড় পিডিবি অফিসের সামনে রাস্তায় দেশ ট্রাভেলসের ভাসমান কাউন্টারে নুর মোস্তফা রিপন এসে আমাকে কাউন্টার ছেড়ে চলে যেতে বলেন। রিপন কাউন্টারে কমিশন হিসেবে টিকিট বিক্রি করবেন বলেও জানান। এ নিয়ে আমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মারধর শুরু করেন রিপন। এসময় আমাকে রক্ষা করতে ভাগিনা মো. আব্দুল্লাহ এবং রবিউল আলম এগিয়ে এলে রিপন তাদের ছুরিকাঘাত করেন।

নুর মোস্তফা রিপনের ছুরিকাঘাতে আব্দুল্লাহর পিঠে ও বাম হাতে এবং রবিউলের ডান গালে জখম হয়। এসময় তাদের দ্রুত উদ্ধার করে একেখান এলাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। রবিউল আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভর্তি করা হয়। তবে আব্দুল্লাহকে সেদিনই চিকিৎসা সেবা শেষে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা করেন বলে জানান মো. রিফাত। তিনি বলেন, যে দোকানের জন্য রিপন আমাকে উঠে যেতে বলেছে সেটি অস্থায়ী টিকিট কাউন্টার।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!