যাবজ্জীবন জেলে থাকতে হবে পতেঙ্গার সেই পিশাচকে

সাত বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের দায়ে সুকুমার জলদাশকে (৫১) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত সুকুমার জলদাশ বাঁশখালী সুতাখালী জেলেপাড়ার মিনতির বাপের বাড়ির মৃত রায় মোহন জলদাশের ছেলে। নগরের পতেঙ্গা থানার মুসলিমাবাদ জেলেপাড়া এলাকায় বিজয় রুদ্রের বিল্ডিংয়ে থাকতেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এমএ নাসের চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় পতেঙ্গা থানার মামলার একমাত্র আসামি সুকুমার জলদাশকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণার পর তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : পালিয়েও বাঁচল না যাবজ্জীবন দণ্ডের কানা ইলিয়াছ

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল নগরের পতেঙ্গা থানার মুসলিমাবাদ জেলেপাড়া এলাকায় বিজয় রুদ্রের বিল্ডিংয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। রিকশাচালক বাবা ও পোশাক শ্রমিক মা বাসায় না থাকায় সুকুমার জলদাশ ঘরে আসেন। এসময় ভুক্তভোগী শিশুর ১০ বছর বয়সী বড় ভাইকে শৌচাগারে আটকে রাখেন। চিৎকার না করার জন্য পাঁচ বছর বয়সী ছোট বোনের মুখে কাপড় গুঁজে দেন। পরে সাত বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণ করেন তিনি। ওই শিশুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সুকুমার পালিয়ে যায়।

ঘটনার দুদিন পর শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে এলাকাবাসীর পরামর্শে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে আটক করে।

পরে এ ঘটনায় করা মামলায় পতেঙ্গা থানার এসআই সুবীর পাল ২০২১ সালের ২৮ জুন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। একই বছরের ১৪ অক্টোবর চার্জ গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। মামলায় সাতজনের সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!