১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণার দাবি

একাত্তরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় অর্জিত হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। বিজয়ের মাসের প্রথম দিন ১ ডিসেম্বরকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর শাখার আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা অনুষ্ঠানে এ দাবি জানানো হয়। চট্টগ্রাম একাডেমি হলে এ আয়োজন করা হয়।

সংগঠন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম মন্টুর সভাপতিত্বে ও জেলা সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী।

আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ

প্রধান আলোচক ছিলেন কেন্দ্রীয় সহসংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।

বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জাহিদ হোসেন শরীফ, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক মো. সেলিম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইফতেখার রাসেল, আবদুল মালেক খান, অ্যাডভোকেট সাইফুন্নাহার খুশী, রঞ্জন প্রসাদ দাশগুপ্ত, সেলিম রহমান, জসীম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়া, নুরুল হুদা চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন, পংকজ রায়, ডা. ফজলুল হক সিদ্দিকী, সৈকত দাশগুপ্ত, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের কামাল উদ্দিন, রাজীব চন্দ, দীপন দাশ, সোহেল ইকবাল, আবদুর রহীম ইমরান মুন্না, নাসির আলী পান্না, কোহিনুর আকতার, নয়ন মজুমদার, সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে গৌরী শংকর চৌধুরী, বাদশা মিয়া, রফিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম খান ও এসএম নুরুল আমিন।

প্রধান অতিথি ড. অনুপম সেন বলেন, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামসহ নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বহু বছর ধরে ১ ডিসেম্বর বেসরকারিভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন ও রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় দিবস হিসেবে পালনের দাবি করে আসছে। ২০২১ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য জোর সুপারিশ করা হয়। আজও সেই সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার পদক্ষেপ নেয়নি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগে একটি রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান ও স্মৃতি রক্ষার্থে একটি দিবস পালনের যৌক্তিকতা রয়েছে। এ বিষয়ে বর্তমানে ক্ষমতাসীন মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

পরে ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা প্রদান এবং ম্যাক্স হাসপাতালের সৌজন্যে আজীবন ফ্যামেলি হেলথ কার্ড দেওয়া হয়।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!