মিরসরাইয়ে ধরা খাওয়া ১২ হোটেল—বেকারিকে এক সপ্তাহের সময়

মিরসরাইয়ে ৯ হোটেল-রেস্তোরাঁ ও ৩ বেকারিকে বিভিন্ন অপরাধে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার বড়তাকিয়া, আবুতোরাব ও পূর্ব মায়ানী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুর রহমান।

জানা যায়, অভিযানে রেস্টুরেন্টে খাবারের মূল্য তালিকা, অনুমোদন, লাইসেন্স না থাকা এবং নোংরা পরিবেশের দায়ে সাড়ে ৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া তিনটি বেকারির বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে দোকান বন্ধ করতে না পেরে ধরা খেল ৯ ব্যবসায়ী

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মক্কা হোটেলের মালিক মো. শহীদুল আলমকে ১ হাজার টাকা, বড়তাকিয়া বাজারের সূর্য্য বণিক মিষ্টি ভান্ডার হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক বিপ্লব বণিককে ১ হাজার টাকা, মক্কা হোটেলের মালিক মহরম আলী শিপনকে ১ হাজার টাকা, তাজমহল রেস্তোরাঁ অ্যান্ড বিরানী হাউজকে ১ হাজার টাকা, জমজম হোটেলের মালিক মফিজ উদ্দিন রিপনকে ১ হাজার টাকা, আবু তোরাব বাজারের বারবিকিউ রেস্টুরেন্টের মালিক আহসান উদ্দিন সুমনকে ১ হাজার টাকা, নিউ আল মদিনা হোটেলের মালিক মো. সোহাগকে ২ হাজার টাকা, রয়েল বাইট রেস্তোরাঁ অ্যান্ড ক্যাফের মালিক রফিকুল ইসলামকে ৫০০ টাকা ও ইরানী কাবাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক আমজাদ হোসেনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া আবুতোরাব বাজারের নিউ শহিদ বেকারির মালিক শওকত আলীকে ৫ হাজার টাকা, গনি বেকারির মালিক আবুল বশরকে ৫ হাজার টাকা ও পূর্ব মায়ানী রাওয়ালীপোল এলাকার ইসপা ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে বড়তাকিয়া বাজারের মায়ের দোয়া ঝাল বিতান, আবু তোরাবের ভাই ভাই হোটেল ও আবছার হোটেলকে সতর্ক করা হয়।

এ বিষয়ে মিরসরাই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, হোটেল-রেস্টুরেন্ট এবং বেকারিরগুলোর পরিবেশ খুবই খারাপ। একটিতেও নেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। বিভিন্ন অপরাধে ৯টি হোটেল ও ৩টি বেকারিকে ২৪ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড এবং সতর্ক করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এএ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!