মাদরাসায় শিশুর লাশ, কীটনাশকের বোতল ঘিরে রহস্য

রাউজানে দারুচ্ছালাম তাহফিসুল কুরআন মাদরাসা ও এতিমখানার মো. ইমন (১১) নামে এক মাদ্রাসছাত্রের লাশ নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে খেলার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে আজ (শনিবার) বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ মাদরাসা থেকে কীটনাশক ও স্প্রে করার বোতল জব্দ করেছে।

আরও পড়ুন: ৩ এতিম শিশুকে বেধড়ক পেটানো মাদরাসা সুপার আটক

তবে কী কারণে ইমনের মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে কীটনাশক খাওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।

মারা যাওয়া ইমন ফটিকছড়ি উপজেলা ভুজপুর থানার আলিয়ার চুলা দিনমজুর মো. আবছারের ছেলে। ইমন ২ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে সবার বড়৷

জানা গেছে, পুলিশ যে স্থান থেকে কীটনাশক উদ্ধার করেছে রুমটি সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তবে সিসিটিভি মনিটর নষ্ট বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, সকাল ৭টায় খাবার খেয়ে সবাই খেলতে যাই। খেলার একপর্যায়ে বড়ই খাওয়ার সময় ইমন মাটিতে পড়ে গেলে সেখান থেকে হুজুর হাসপাতালে নিয়ে যান।

আরও পড়ুন: রক্তাক্ত মাদ্রাসা—৩ খুনি পুলিশের জালে

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মাদরাসা পরিচালক আজিজুল হক মুঠোফোনে আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মাদরাসার পাশেই বেগুন ক্ষেত। ক্ষেতে দেওয়া অবশিষ্ট বিষ সেখানে রাখা হয়েছিল। এ কীটনাশক খেয়ে ইমন গুরুতর অসুস্থ হয়। মুখে লালা দেখে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার অজয় দেব শীল বলেন, মাদরাসার এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পেয়ে আজ (শনিবার) বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে কীটনাশক ও স্প্রে বোতল জব্দ করা হয়েছে৷ লাশ ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শফি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!