মাঝি গুনল জরিমানা, ইলিশের স্বাদ পেল এতিমরা

জাটকা নিধন বন্ধে যৌথ অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় জাটকা ইলিশ ধরার অপরাধে দুমাঝিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পোড়ানা হয় ৪০টি জাল। জব্দ মাছ পাঠানো হয়েছে এতিমখানায়।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও বঙ্গোপসাগরে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে যৌথ এ অভিযান চালায় মৎস্য অধিদপ্তর, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও নৌ পুলিশ।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পতেঙ্গা সার্কেল মিজানুর রহমান।

জানা গেছে, অভিযানে জাটকা ইলিশ ধরার অপরাধে এক মাঝিকে ২ হাজার টাকা এবং অপরজনকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। পাশাপাশি ৪০টি অবৈধ জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ সময় জব্দ করা মাছ পাঠানো হয় এতিমখানায়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আজ ৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার ধাপে ৩০ দিন ধরে চলবে।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পতেঙ্গা) মিজানুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও বঙ্গোপসাগরে অবৈধ জাল দিয়ে জেলেরা মৎস্য আহরণ করছে। যা মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

তিনি বলেন, আজকের অভিযানে দুমাঝিকে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ ও জাটকা ইলিশ ধরার অপরাধে ৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। ৪০টি অবৈধ জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং জব্দ জরা মাছ এতিমখানায় পাঠানো হয়েছে।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী, মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, লে. কমান্ডার হামিদ ও বানৌজা লে. রওনক।

এসকেএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!