নগরে বিভিন্ন অপরাধে ৮ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সয়াবিন তেলের বোতলে টাকার ঘরে ঘষামাজা, দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির জন্য সংরক্ষণ, মোড়কজাত বিধি অনুসরণ না করাসহ বিভিন্ন অপরাধে এসব জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ৬ প্রতিষ্ঠানের কাঁধে ভোক্তা অধিকারের দণ্ড
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে নগরের হালিশহর ও বন্দর এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. দিদার হোসেন।
এ বিষয়ে সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান জানান, অভিযানে হালিশহরের ঈদগাহ বরফকল এলাকার জননী স্টোরকে সয়াবিন তেলের বোতলে টাকার অঙ্কে ঘষামাজা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ১ লাখ টাকা, একই এলাকার রূপসা ফুডকে মোড়কজাত বিধি অনুসরণ না করায় ১৫ হাজার টাকা এবং খাজা আজমীর বয়লার হাউসকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: ৭ প্রতিষ্ঠানের কাঁধে উঠল ভোক্তা অধিকারের জরিমানা
এছাড়া বন্দর নতুন বাজারের মোমিন স্টোরকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৩৮ ও ৪৫ ধারায় ৩ হাজার, বেলাল স্টোরকে একই ধারায় ৫ হাজার টাকা এবং পুরাতন পোর্ট মার্কেট এলাকার গরীবে নেওয়াজ স্টোরকে বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করায় ১৫ হাজার টাকা, ইপিজেড থানা এলাকার আলী শাহ্ মার্কেটের সন্দ্বীপ স্টোরকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ২ হাজার টাকা, একই অপরাধে আমির স্টোরকে হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান।
অভিযানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) সহায়তা করে।
আরবি