বিল্ডিং কোড মানতে সিডিএর তদারকি দরকার : ভূমিমন্ত্রী জাবেদ

আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিল্ডিং কোড মানার বিষয়ে সিডিএর তদারকি থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এছাড়া অনেক আবাসন প্রতিষ্ঠান অনৈতিকভাবে গ্রাহকদের থেকে কমন এরিয়ার নামে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কেড়ে নেয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) হোটেল রেডিসন ব্লুতে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) আয়োজিত আবাসন মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, আবাসন কোম্পানিগুলো দিনে দিনে উন্নয়ন করে যাচ্ছে। নির্মাণ করা হচ্ছে সুউচ্চ ভবন। কিন্তু এক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড কয়জন মানছেন? এ ব্যাপারে সিডিএর দৃষ্টি রাখা উচিত। আবাসন মালিকদের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন সঠিক মাপের ফ্ল্যাট গ্রাহকদের বুঝিয়ে দেয়। অনেক আবাসন প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের থেকে অনৈতিকভাবে কমন এরিয়ার নামে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কেড়ে নেয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আবাসন মালিকদের আরো সৃজনশীলতার পরিচয় দিতে হবে, মানুষের রিফ্রেশমেন্টের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। পর্যাপ্ত হাঁটাচলার ব্যবস্থাসহ খোলামেলা মাঠ রেখে আবাসন প্রতিষ্ঠান করতে হবে। আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে অনলাইনে ভূমি কর সম্পূর্ণ আদায় করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন: লন্ডনে বসে ক্ষমতায় আসা এত সহজ না : ভূমিমন্ত্রী জাবেদ

এদিকে ‘স্বপ্নিল আবাসন সবুজ দেশ, লাল সবুজের বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে শুরু হয়েছে চার দিন ব্যাপী আবাসন মেলা। এবারের মেলায় ৪৮টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। মেলায় গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে উইকন প্রপার্টিজ লিমিটেড এবং আরএকে সিরামিকস বাংলাদেশ। এছাড়া কো-স্পন্সর হিসেবে রয়েছে আরও ১৭টি প্রতিষ্ঠান।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ‘সিঙ্গেল’ ও ‘মাল্টিপল’ টিকিটের মাধ্যমে দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। শুধুমাত্র একবার প্রবেশের জন্য সিঙ্গেল টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা এবং এক টকিটে চারবার প্রবেশের জন্য মাল্টিপল টিকেটের দাম পড়বে ১০০ টাকা।

মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, অনেক আবাসন প্রতিষ্ঠানের হাতে জমি দেওয়ার পর চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও তা হস্তান্তর করতে পারে না। ফলে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসায়িকভাবে দুর্নামের শিকার হচ্ছে। রিহ্যাবের এক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যারা রিহ্যাবের মেম্বার হবে না, তারা যেন আবাসন ব্যবসায় জড়িত হতে না পারে। মানুষের ভোগান্তি দূর করতে সিটি মেয়র হিসেবে আমার প্রতিষ্ঠান একটি কাজ করতে পারে তা হলো ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করা। তবে এ ব্যাপারে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে প্রস্তাব আসতে পারে।

রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী বলেন, সব সেবা সংস্থাকে একত্রিত করে নগরের জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। এমন মাস্টার প্ল্যান যেন তৈরি না হয় যা নিয়ে সবার প্রশ্ন থাকে। অতীতের মাস্টার প্ল্যান নিয়ে অনেক সমস্যা ছিল।

রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল কৈয়ূম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি মাহবুবুল আলম, রিহ্যাবের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট কামাল মাহমুদ ও রিহ্যাবের শামসুল আল আমিন কাজল।

জেএন/আলোকিত চট্টগ্রাম

 

 

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!