গল্প সাজিয়ে ব্যাটারি রিকশা ‘গায়েব’ করে দেয় কাশেম-ইব্রাহীম

সাব্বির (১৮) গত ১১ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে ব্যাটারি রিকশা নিয়ে বের হন। সকাল পৌনে ১১টার দিকে হালিশহর থানার বাইতুল করিম মাদ্রসার সামনে থেকে এক যাত্রী তাকে ভাড়ায় নেন। সোয়া ১১টার দিকে হালিশহর বি ব্লকের দেলোয়ার হোসেনের বাসার সামনে রিকশা থামাতে বলেন।

এরপর ওই ব্যক্তি এক অটোরিকশা চালকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলেন। পরে সাব্বিরকে দাঁড়াতে বলে গলির ভেতরে যান। সেখান থেকে এসে রুমের দরজা খুলতে পারছে না জানিয়ে সাব্বিরের চাবিটি নিয়ে যান। দীর্ঘক্ষণ চাবি নিয়ে না আসায় তাকে খুঁজতে সাব্বির গলির ভেতরে যান। এরপর ফিরে এসে দেখেন তার রিকশা নেই!

এভাবেই একের পর এক রিকশা চুরি করছিল দুই যুবক। তবে এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চক্রের দুসদস্য।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মায়ের সামনেই শিশুকে খুন করল বেপরোয়া ব্যাটারি রিকশা

ঘটনার ৪ দিন পর মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা দুঘণ্টার অভিযানে সীতাকুণ্ড থানার সলিমপুর এলাকা চোরচক্রের দুসদস্যকে গ্রেপ্তার করে হালিশহর থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছে থেকে চুরি করা ব্যাটারিচালিত রিকশা ও চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুযুবক হলেন- আবুল কাশেম (৪৫) ও মো. ইব্রাহীম (৪২)।

যোগাযোগ করা হলে হালিশহর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুফল কুমার দাশ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মো. কবির ও তার ছেলে মো. সাব্বির (১৮) ১৫ নভেম্বর থানায় এসে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সীতাকুণ্ডের সলিমপুরের শাহীনের রিকশার গ্যারেজ থেকে চোরচক্রের সদস্য মো. আবুল কাশেম ও ইব্রাহীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় চুরি হওয়া ব্যাটারিচালিত রিকশাটি উদ্ধার করা হয়। পরে আসামি ইব্রাহীমের দেওয়া তথ্যে পাহাড়তলী থানার আজম নগর রোডের জাহাঙ্গীরের গ্যারেজ থেকে চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি অটোরিকশা আটক করা হয়।

এসআই আরও বলেন, এ ঘটনায় বুধবার (১৬ নভেম্বর) মামলার পর গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এনইউএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!