লামার দুর্গম এলাকায় পড়ে ছিল ব্যবসায়ীর লাশ, পা থেকে ঝরছিল রক্ত

বান্দরবানের লামায় সরোয়ার আলম (৫৫) নামের এক বাঁশ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহজনক দুজনকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় উপজেলার দুর্গম নাইক্ষ্যংমুখ এলাকার রেঅংপাড়া সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে স্থানীয়রা লাশ দেখে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের খবর দেয়।

আরও পড়ুন: হাত-পা বাঁধা লাশ—স্বর্ণের লোভেই শামীমাকে খুন করে পাশের বাসার লোক

সরোয়ার আলম লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের অংহ্লাপাড়া এলাকার মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম ওই এলাকায় বাঁশসহ গাছ, কলা ও সবজির ব্যবসা করতেন।

আটকদের মধ্যে এছো ত্রিপুরা (১৯) রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আলিয়াং বাবুপাড়ার কারবারী আর্গা ত্রিপুরার ছেলে। আটক গণেশ ত্রিপুরা (২৩) সরই ৬নম্বর ওয়ার্ডের টংগঝিরি এলাকার হাছমনী ত্রিপুরার ছেলে। গণেশ ত্রিপুরা নাইক্ষ্যংমুখ বাজারে একটি মুদি ও চা দোকান করতেন।

এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহজনক দুজনকে আটক করা হয়েছে।

লামা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক নাইমুল হক বলেন, লাশের দুপায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। ক্ষত স্থানে রক্ত ঝরছিল। লাশের কিছু দূরে জুতা ও ছাতা পাওয়া গেছে। ধারণা করছি বুধবার রাতের কোনো এক সময় তাকে খুন করা হয়েছে। তবে কী কারণে খুন করা হয়েছে তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

রূপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, ঘটনাস্থল খুবই দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ। লামা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করার পর সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়।

আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে নিয়ন্ত্রণ হারাল হানিফ পরিবহনের বাস, এনজিওকর্মী লাশ

রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার কাইওয়ে ম্রো ও নাইক্ষ্যংমুখ বাজার সভাপতি কাইমপা ম্রো বলেন, বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সরোয়ার আলম আটক দুজনকে নিয়ে নাইক্ষ্যংমুখ বাজার থেকে রওনা দেয়।

নিহত সরোয়ার আলমের শ্যালক মো. শাহ আলম বলেন, আলিয়াংপাড়ার লোকজনের কাছে আমার বোনজামাই কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা পাবে। খুনের সময় তার কাছে টাকা ছিল। বাঁশের টাকা দিতে তিনি এসেছিলেন। ওই এলাকায় তিনি ৩০ বছরের বেশি সময় ব্যবসা করছিলেন।

ইএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!