বেশি ওজনের শিশু বাড়ছে

দেশে বাড়ছে বেশি ওজনের শিশু। দেশে বর্তমানে এ ধরনের শিশু আছে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বা ৩ লাখ ১২ হাজার।

এদিকে দেশে ৫ বছরের কম বয়সের ২৬ শতাংশ শিশু খর্বকায়। সবমিলিয়ে দেশে এমন শিশুর সংখ্যা ৩৮ লাখ ৭৮ হাজার।

অপুষ্টির শিকার শিশুদের এ অনুমিত সংখ্যা ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্বব্যাংক যৌথভাবে প্রকাশ করেছে। গত ২৩ মে প্রকাশিত ‘শিশু অপুষ্টির মাত্রা ও প্রবণতা’ শীর্ষক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে অন্তত একটি ক্ষেত্রে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি বাড়ছে। দেশে আগের চেয়ে মাত্রাতিরিক্ত ওজনের শিশুর সংখ্যা বাড়ছে।

বৈশ্বিক প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম, এমন শিশুর সংখ্যা কমছে। ২০১২ সালে ছিল ৩৯ শতাংশ বা ৬০ লাখ ৪৬ হাজার। বর্তমানে ২৬ শতাংশ বা ৩৮ লাখ ৭৮ হাজার। তবে একে ‘উচ্চ’ হার বলছে ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্বব্যাংক।

এদিকে শিশুদের অনেকের মধ্যে বেশি ওজনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যেসব শিশুর উচ্চতার তুলনায় ওজন বেশি, তারা অতি ওজনের শিশু। যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি শক্তি শিশুরা যদি খাদ্য ও পানীয় থেকে গ্রহণ করে, তাহলে সেসব শিশু অতি ওজনের হয়। দেশে বর্তমানে এমন শিশু আছে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বা ৩ লাখ ১২ হাজার। একদশক আগে এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭১ হাজার। অর্থাৎ প্রতিবছর এ ধরনের শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। এমন শিশুর অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও বিশ্বব্যাংক বলছে, কোনো কোনো শিশু একসঙ্গে দুধরনের অপুষ্টিতে ভোগে। অর্থাৎ শিশু একইসঙ্গে খর্বকায় ও অতি ওজনের হতে পারে। আবার কোনো ক্ষেত্রে শিশু একইসঙ্গে খর্বকায় ও কৃশকায় হতে পারে। তবে একসঙ্গে দুধরনের অপুষ্টির শিকার শিশুদের বৈশ্বিক বা দেশভিত্তিক পরিসংখ্যান নেই।

আলোকিত চট্টগ্রাম

 

 

 

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!