চট্টগ্রামে বেলিয়ার মানববন্ধন—আগের বাজেটের শুল্ক বহাল রাখার দাবি

নগরে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে লিফট ও এসকেলেটরের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৯ জুলাই) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ এলিভেটর, এসকেলটরস অ্যান্ড লিফট ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলিয়া) এ আয়োজন করে।

বেলিয়া চট্টগ্রাম শাখার কার্যকরী সদস্য এমদাদ হোসাইন ইভানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সরকার লিফট উৎপাদনকারীদের ২০২৫ সাল পর্যন্ত ভ্যাট মওকুফ ঘোষণা করেছে। কিন্তু ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটে আমদানি শুল্ক ও কর অনুযায়ী দেশীয় উৎপাদনকারীরা লিফটের যন্ত্রাংশে এক শতাংশ আমদানি শুল্ক দেয়। উৎপাদনকারীরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে জাহাজ ভাড়ার সুবিধা, আমদানি করের সুবিধা এবং সরবরাহের বিপরীতে ভ্যাট সুবিধায় সম্পূর্ণ তৈরি লিফট আমদানিকারকদের থেকে ২৫ শতাংশ কম মূল্যে বিক্রয় করতে পারেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সম্পূর্ণ তৈরি লিফট আমদানি শুল্ক আবারও ১০ শতাংশ বাড়ানোর কারণে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আমদানি লিফট ও দেশীয় শিল্পে উৎপাদিত লিফটের দামের পার্থক্য হচ্ছে ৩৭-৪০ শতাংশ, যা খুবই অসম হচ্ছে। লিফট ও এসকালেটর এখন বিলাসী পণ্য নয়। উন্নয়নের যেসব অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে, সেখানে প্রয়োজনীয় পণ্য হলো লিফট ও এসকালেটর।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের মানববন্ধন

বেলিয়া চট্টগ্রাম শাখার আহ্বায়ক পূজন সেনগুপ্ত বলেন, করোনা-পরবর্তী গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিগ্রহ, মুদ্রাস্ফীতি, স্থায়ী মন্দা, বিভিন্ন দেশে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ইত্যাদি কারণে লিফট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। যার রেশ কাটতে না কাটতেই ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে আবারও ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগরি থেকে অবমুক্ত রেখেই বাণিজ্যক পণ্য হিসেবে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান মোট শুল্ক ১৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে এবং এসকেলেটরকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগরি থেকে অবমুক্ত করে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান মোট শুল্ক ১১ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে সর্বমোট ৪৩ শতাংশ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সরকারের বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পের লিফট এবং এসকেলেটরের হাতে নেওয়া কার্যাদেশের বর্তমানে চলমান মূল্য প্রায় ৪০০-৫০০ কোটি টাকা। একইভাবে বেসরকারি খাতে যা ১২০০-১৫০০ কোটি টাকা, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার মুদ্রার বিনিময় মূল্যের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা কার্যকরী না থাকায় ডলার অনিয়ন্ত্রিত মূল্য এবং ১০০ শতাংশ মার্জিনে এলসি খুলতে এমনিতেই সরবরাহকারী ও আমদানিকারকদের নাভিশ্বাস। তার ওপর বাজেটে অতিরিক্ত শুল্ক যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। এ শিল্পের সুরক্ষার্থে গত বছরের কার্যাদেশের ওপর পূর্বের বাজেটের নিয়মানুযায়ী শুল্ক বহাল রাখতে সরকারকে সুবিবেচনার অনুরোধ করছি।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!