বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না মুরাদ হাসানের, কানাডায় গিয়েও শান্তি নেই

বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের। কানাডায় গিয়েও শান্তি নেই। কানাডায় যেতে এত দ্রুত ভিসা কীভাবে পেলেন এবার সে বিতর্ক উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা ডা. মুরাদ হাসান বৃহষ্পতিবার রাতে কানাডায় যান।

এত দ্রুত কীভাবে তিনি কানাডার ভিসা পেলেন? তার কাছে কি আগেই কানাডার ভিসা ছিল? কোন পাসপোর্ট নিয়ে তিনি কানাডায় গেলেন? এমন নানা প্রশ্ন উঠছে। ডা. মুরাদের এত দ্রুত দেশ ত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক শওকত আলী সাগর।

আরও পড়ুন: এবার মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য পদের বৈধতা নিয়ে রিট

বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘আচ্ছা, ডা. মুরাদ চাইলেন আর অমনি টিকিট কেটে কানাডার উদ্দেশে প্লেনে চড়ে বসলেন! বিষয়টা এত সহজ হলো কেমনে? বাংলাদেশের কতজন মন্ত্রী, এমপি, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী আগে থেকেই এ ধরনের ব্যবস্থা করে রেখেছেন? যারা বড় বড় কথা বলেন, তাদের সবারই কী এ রকমের আরেকটা জায়গা ঠিক করা আছে- যে চাইলেই লাফ দিয়ে সেখানে চলে যেতে পারবেন!’

সাগর ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুরাদের ‘রাতের আঁধারে’ দেশত্যাগ নিয়ে চলছে নানা কথাবার্তা। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তিনি কি ব্যক্তিগত পাসপোর্টে দেশ ছেড়েছেন নাকি লাল পাসপোর্টে?

আরও পড়ুন: ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করলেন মুরাদ হাসান, অডিও-ভিডিও সরানোর নির্দেশ

ডা. মুরাদ কয়েক মাস আগে কানাডা যান, তখন তিনি প্রতিমন্ত্রী। সেই সময় তিনি সরকারি পাসপোর্টে ভ্রমণ করেন। তাই প্রশ্ন উঠেছে তাঁর ব্যক্তিগত পাসপোর্টেও কী কানাডার ভিসা আগে থেকেই ছিল? নাকি তিনি দুটি পাসপোর্টই ব্যবহার করতেন! করলে সেটি তিনি পারেন কিনা? তা না হলে হুট করেই তিনি কানাডার ভিসা পেয়ে গেলেন কীভাবে?

এরকম নানা প্রশ্ন, সমালোচনা গত রাত থেকে ঘুরে বেড়াচ্ছে ফেসবুক-টুইটারে। তবে জবাব মিলছে না কোনো। শুধু প্রশ্ন বা সমালোচনা নয়, অনেকেই এসব বিষয় নিয়ে ট্রলেও মেতেছেন।

এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!