বাঁশখালীতে মসজিদের ইমামের যৌন লালসার শিকার শিশু

বাঁশখালীতে নুরানী শ্রেণির ১০ বছরের এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে পুঁইছড়ি ইউনিয়ন ভিলেজেরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নাছির উদ্দিনের (৩৮) বিরুদ্ধে। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

মঙ্গলবার (৯ মে) সকাল ১১টায় ভিলেজেরপাড়া জামে মসজিদের একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে ঘটনা জানাজানির পর আজ (বৃহস্পতিবার) মসজিদ কমিটি সেই ইমামকে বরখাস্ত করেছে। এর আগে ঘটনার দিন রাতে সমঝোতা বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়।

অভিযুক্ত ইমাম মাওলানা নাছির উদ্দিন শেখেরখীল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাতার বাপের বাড়ির মৃত মফজ্জল আহম্মদের ছেলে। তিনি ৩ মেয়ে ও ১ ছেলের জনক।

সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, ঘটনার পর স্থানীয় এক প্রভাশালী মহল ভিকটিমের মায়ের কাছ থেকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করেছে।

এছাড়া ঘটনার পর ভিকটিম শিশুকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠান। তবে মসজিদ কমিটির সদস্যরা ওই শিশুকে চমেক হাসপাতালে নিতে দেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে ভিকটিম শিশুর মা অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলেকে ইমাম নাছির উদ্দিন কাজের কথা বলে রাস্তা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর ভিলেজারপাড়া জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে বলাৎকার করেন। পরে ছেলেকে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে চমেক হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু মসজিদ কমিটির কিছু লোক তাকে চমেক হাসপাতালে নিতে দেয়নি এবং স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে হুমকি-ধমকি দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইমাম মাওলানা নাছির উদ্দিন বলেন, বলাৎকারের অভিযোগটি সঠিক নয়। আমি এ ধরনের কোনো কাজ করিনি।

জানতে চাইলে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. ইউনুছ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ঘটনাটি ১১ জন ব্যক্তির উপস্থিতিতে মঙ্গলবার রাতে মীমাংসা করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) অভিযুক্ত ইমামকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শিশুর মা আইনের আশ্রয় নিলে আমাদের কোনো বাধা নেই।

যোগাযোগ করা হলে বাঁশখালী থানার এসআই মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামবাসীর কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউবি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!