বলাৎকারের শোধ নিতে আওয়ামী লীগ নেতাকে খুন, ষড়যন্ত্র বলছে ভাই

প্রথমে বলাৎকার করে ভিডিও ধারণ এবং সেই ভিডিও ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে পুনরায় ডেকে এনে আবারও বলাকাৎকারের চেষ্টা করায় আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুদ্দিনকে খুন করেন গ্রেপ্তার আশরাফুল ইসলাম (২০)।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন মদ নিয়ে হোটেল সানমুনের ২০৮ নম্বর কক্ষে যান সাইফুদ্দিন ও আশরাফুল। সেখানে আশরাফুলকে বলৎকার করেন সাইফুদ্দিন। এরপর আশরাফুল চলে যাওয়ার পর পুনরায় তাকে ডেকে এনে ফের বলাৎকারের চেষ্টা করেন সাইফুদ্দিন। তখন আশরাফুলের কাছে থাকা ছুরি দিয়ে সাইফুদ্দিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে খুন করেন। এরপর নিহত সাইফুদ্দিনের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় আশরাফুল।

এরপর একইদিন রাত ১১টার দিকে টেকনাফে হোয়াইক্যং থেকে আশরাফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।

আরও পড়ুন : আওয়ামী লীগ নেতার হাত বাঁধা লাশ কক্সবাজারে আবাসিক হোটেলে

এদিকে গ্রেপ্তার আশরাফুলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সাইফুদ্দিনের মোবাইল ফোন ভাঙা অবস্থায় ড্রেন থেকে এবং খুরুশ্কুলের নয়ন নামের একজনের গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে ঘাতক আশরাফুলের বরাত দিয়ে সাইফুদ্দিনের বলাৎকার সংক্রান্ত পুলিশের বক্তব্য প্রত্যাখান করেছে নিহতের পরিবার।

এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিহত সাইফুদ্দিনের ভাই মহিম জেলা পুলিশ সুপারের বক্তব্য প্রত্যাখান করে তদন্তপূর্বক প্রকৃত কারণ উদঘাটন করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিনীত আবেদন জানিয়েছেন। এছাড়া একজন আশরাফুলের একার পক্ষে তার ভাইকে খুন করার দাবিটি তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে দাবি করেন। কোনো ব্যক্তি কিংবা বিশেষ মহল গ্রেপ্তার আশরাফুলকে দিয়ে পরিকল্পনা মতো খুনের ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তার ভাইয়ের চরিত্র হননের খেলায় মেতে উঠেছে বলে মনে করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেল সানমুনের দ্বিতীয় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষ থেকে সাইফুদ্দিনের দুহাত বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি শহরের ঘোনারপাড়া এলাকায়।

বিডি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!