১৯ বছরেও ফারুক হত‍্যার বিচার হয়নি, পরিবারও পায়নি রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ফারুক মাহমুদ সিদ্দিকীর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম-বৃহত্তর চট্টগ্রামের উদ্যোগে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরের দোস্ত বিল্ডিং কার্যালয়ে স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠন সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী বাবুল।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম, নারীনেত্রী অ্যাডভোকেট সাইফুন নাহার খুশী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল মালেক খাঁন, নাসির উদ্দিন রিয়াজ, অ্যাডভোকেট মিলাদুল আমীন, আকতার হোসেন চৌধুরী ও সোহেল ইকবাল ।

আরও পড়ুন: ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ—বিএনপি নেতা আসলামের বিচার শুরু

সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক দীপন দাশের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মো. কামাল উদ্দিন, মো. সিরাজ, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, ইমরান হোসেন মুন্না, ইঞ্জিনিয়ার ইয়াকুব মুন্না, নাসির আলী খান পান্না, ভাষ্কর দেব, ইঞ্জিনিয়ার নাসির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মো. হাসান, শাহাদাত হোসেন ইমরুল, আবদুল করিম, নয়ন বড়ুয়া, ফরহাদ হোসেন, মো. রাসেল, আল আমীন, মো. সুমন, মো. ঈশান, মো. তারেক ও সাইমন হোসেন।

সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে বুড়িশ্চর জিয়াউল উলুম মাদ্রাসার সভায় জামায়াত -শিবিরের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ব্রাশফায়ারে নির্মমভাবে ফারুক মাহমুদ সিদ্দিকীকে হত্যা করে। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার পরও ১৯ বছরেও এ হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া এবং তার পরিবারের রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য না পাওয়া সত্যি দুর্ভাগ্যজনক।

বক্তারা আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিকে ধারণ করে ন্যায়ের পথে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আমৃত্যু লড়াই করে গেছেন ফারুক মাহমুদ সিদ্দিকী। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে চেয়েছিল।

সভা শুরুর আগে নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!