ফটিকছড়ির চাষিদের বাম্পার ফলনের হাসি কেড়ে নিল মিধিলি

সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ফটিকছড়িতে তিনদিনের (১৫-১৭ নভেম্বর) টানা বৃষ্টিতে পাকা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে কৃষকদের চোখেমুখে ভর করেছে দুশ্চিন্তার চাপ। বাকি ধানগুলো ঘরে তোলা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। একদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় শ্রমিক সংকট এবং হঠাৎ টানা বৃষ্টি যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার জমির পাকা ধানে পচন ধরেছে। আবার কোথাও কোথাও কাটা ধান মাঠে পড়ে রয়েছে।

উপজেলার লেলাং ইউনিয়নের বর্গাচাষি মো. আবদুল মান্নান বলেন, আমার মতো অনেক চাষির খেতের পাকা আমন ধান বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার দুটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নে ২১ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ করা হয়। ফলনও হয়েছে ভালো। কিন্তু ধান তোলা ও মাড়াইয়ের সময় রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। এছাড়া অসময়ে বৃষ্টিতে ধান গোলায় উঠানো যায়নি।

আরও পড়ুন : ফটিকছড়িতে ফুঁ দিলেই মিলে লাখ লাখ টাকা

কৃষকরা জানায়, উপজেলার দৌলতপুর, রোসাংগিরী, হারুয়ালছড়ি, আবদুল্লাহপুর, লেলাং, সুয়াবিল, বক্তপুর, ধর্মপুর, ভূজপুর, নারায়নহাট, নানুপুর ও কাঞ্চনগর ইউনিয়নে এবার ধানের বাম্পার ফলন হলেও বৃষ্টির কারণে মাথায় হাত পড়েছে।

সুয়াবিল গ্রামের কৃষক শফিউল আলম বলেন, আমন ধান পাকতে শুরু করলেও রাজনৈতিক অস্থিরতায় চাহিদ অনুযায়ী শ্রমিক না পাওয়ায় ধান মাড়াইয়ের কাজ করতে দেরি হচ্ছে। এছাড়া ধান মাড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার মুহূর্তে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে জমিগুলো।

রোসাংগিরী গ্রামের কৃষক জাকারিয়া সিকদার বলেন, বৃষ্টির ফলে ধানের ক্ষতি হওয়ায় এলাকার চাষিদের চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ পড়েছে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এবার রোপা আমন ধানের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তবে এখন বৃষ্টি না হলে চাষিরা আরও বেশি লাভবান হতেন। ক্ষতি পোষাতে চাষিদের সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!