প্রেমিকের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া কিশোরী রাতে দিল গলায় দড়ি

রাউজানের নাদিয়া সুলতানা জেসি (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাত ৮টায় উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিন রাত ৯ টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

জেসি একই ইউনিয়নের মইশকরম গ্রামের প্রবাসী আবু বক্করের মেয়ে। সে মোহরা এলকে ছিদ্দিকী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

আরও পড়ুন : প্রেমিকের উপহার দেওয়া মোবাইলই কাল হলো কিশোরীর

জানা যায়, শুক্রবার সকালে প্রেমিক বোয়ালখালী উপজেলার ইমামনগরের মো. দিদারের ছেলে মো. সিফাতের সঙ্গে বেড়াতে যায় জেসি। বিকেলে বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেয়ে জেসির আচরণ ও মোবাইল আসক্তির কারণে তার মা বকাঝকা করে মোবাইল কেড়ে নেয়। এতে রাগ ও ক্ষোভে সে আত্মহত্যা করেছে।

স্কুলছাত্রীর মা কামরুন নেছা সিফাতের সঙ্গে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেন, শুক্রবার সকালে ঘর থেকে বের হয়ে যায় জেসি। পরে তাকে ফোন করলে সিফাতের সাথে বেড়াতে যাওয়ার কথা জানায়। মেয়ে অনেকক্ষণ ধরে বাড়ি ফিরে না আসায় আমি অভিমান করে বাপের বাড়ি চলে যাই। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি বিকেলে জেসিকে পৌঁছে দিয়েছে সিফাত।

কামরুন নেছা আরও বলেন, এদিন সন্ধ্যায় ফিরে এসে দেখি ঘরের সামনের দরজা বন্ধ। এরপর পেছনের দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে দেখি মেয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। পরে আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে চেয়ারম্যানকে জানায়। চেয়ারম্যান থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

এদিকে প্রেমিকার মৃত্যুর খবর শুনে প্রেমিক সিফাত জেসির বাড়ি এলে তাকে এলাকার লোকজন আটক করে রাখেন। পরে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।

ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

যোগাযোগ করা হলে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, মেয়েটির মা মোবাইল ফোন নিয়ে ফেলায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে জেনেছি। খবর পেয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এসএ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!