প্রবাসীর ঘরে অর্ধকোটি টাকার চুরির রহস্যের কিনারা নেই, মামলা গেল পিবিআইতে

রাউজানের প্রবাসী আবদুল কাদেরের ঘর থেকে অর্ধকোটি টাকার মালামাল চুরির মাস পেরিয়ে গেলেও ঘটনার কোনো রহস্য উদঘাটন হয়নি। এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে জড়িতরা।

১১ জুন রাতে হলদিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াসিননগর এলাকায় প্রবাসফেরত আবদুল কাদেরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় স্বর্ণলংকারসহ অর্ধকেটি টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল।

জানা যায়, প্রবাসী আবদুল কাদেরের পাকা ভবনের দুশ গজ দূরে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলামের বাসভবন এবং চারশ গজ দূরে উপজেলা চেয়ারম্যান এহেসানুল হায়দার বাবুলের বাসভবন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আজিজুল হকের ছেলে প্রবাসী আবদুল কাদের ১১ জুন পুর্ব গুজরা ইউনিয়নের আধারমানিক এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। এদিন রাতে গেইটের তালা ভেঙে চোরেরা ভেতরে ঢুকে। পরে দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে আলমিরায় রাখা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে যায় । এছাড়া গেইট ও দরজায় লাগানো সিসি ক্যামেরাও নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন : রাউজানে প্রবাসীর ঘরে লুকিয়ে ছিল বিশাল অজগর

পরে আবদুল কাদের বাড়ি ফিরে চুরির ঘটনা দেখে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এদিকে চুরির ঘটনায় আবদুল কাদের বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। কিন্তু মাস পেরিয়ে গেলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ।

এ বিষয়ে মামলার বাদী আবদুল কাদের বলেন, মাস পেরুলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউই এখনও গ্রেপ্তার হয়নি।।

জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চিকদাইর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোতাবির হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, চুরির ঘটনার কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারিনি। মামলার বাদী পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআইকে) মাধ্যমে তদন্ত করার আবেদন করেছেন আদালতে। আদালত পিবিআইকে মামলার কাগজপত্র বুঝিয়ে দিতে চিঠি দিয়েছেন।

এদিকে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম প্রবাসী আবদুল কাদেরের ঘরে চুরির ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান।

এসএ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!