মিরসরাইয়ের ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯ জন চেয়ারম্যান, ৪৮৯ জন সাধারণ ও ১১৮ জন সংরক্ষিত সদস্যকে প্রতীক দেওয়া হয়েছে। এখানকার ১৩টি ইউনিয়নে নৌকার একক প্রার্থী দেওয়া গেলেও তিন ইউনিয়নের বিদ্রোহ দমানো যায়নি। ইছাখালী, মিরসরাই সদর ও খইয়াছড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে লড়ছেন বিদ্রোহী প্রার্থী।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) ৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন। প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন : মিরসরাইয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ালেন ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১০৯ জন
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে একক প্রার্থী থাকায় ১৩ জন চেয়ারম্যান বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ী সবাই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। বিজয়ী এই প্রার্থীরা হলেন−১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মো. এনায়েত হোসেন নয়ন, ২ নম্বর হিঙ্গুলী ইউনিয়নে মো. সোনা মিয়া, ৩ নম্বর জোরারগঞ্জ ইউনিয়নে মো. রেজাউল করিম, ৪ নম্বর ধুম ইউনিয়নে আবুল খায়ের মো. জাহাঙ্গীর, ৫ নম্বর ওচমানপুর ইউনিয়নে মফিজুল হক, ৭ নম্বর কাটাছরা ইউনিয়নে রেজাউল করিম চৌধুরী হুমায়ুন, ৮ নম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়নে এসএম আবু সুফিয়ান, ১০ নম্বর মিঠানালা ইউনিয়নে এমএ কাশেম, ১১ নম্বর মঘাদিয়া ইউনিয়নে মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন, ১৩ নম্বর মায়ানী ইউনিয়নে কবির আহম্মদ নিজামী, ১৪ নম্বর হাইতকান্দি ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নে ফজলুল কবির ফিরোজ এবং ১৬ নম্বর শাহেরখালী ইউনিয়নের কামরুল হায়দার চৌধুরী।
এছাড়া ১৬টি ইউনিয়নে ৬ জন সংরক্ষিত এবং ১৩ জন সাধারণ সদস্যও একক প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন।
আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে এখানে অনুষ্ঠিত হবে ইউপি নির্বাচন। এখানকার ইছাখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. নুরুল মোস্তফা। তাঁর সঙ্গে আনারস প্রতীকে লড়ছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মোস্তফা। ৯ নম্বর মিরসরাই সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক পেয়েছেন শামছুল আলম দিদার। তাঁর সঙ্গে মাঠে রয়েছেন তিন বিদ্রোহী প্রার্থী। মো. সাইফুল্লাহ ঘোড়া প্রতীক, খায়রুল বাশার ফারুক আনারস প্রতীক এবং আজম খান রয়েছেন চশমা প্রতীকে।
খইয়াছড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মাহফুজুল হক জুনু। তাঁর সঙ্গে লড়ছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহেদ ইকবাল চৌধুরী ঘোড়া প্রতীকে এবং জাতীয় পার্টির নুর হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে।
এছাড়া উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে সংরক্ষিত সদস্য পদে ১১৮ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৮৯ জন প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফারুক হোছাইন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বুধবার ৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের ৯ চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৬০৭ জন সাধারণ ও সংরক্ষিত প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।