মেয়ের খুনের বিচার চান রুবেল খান, পিবিআইতে সাংবাদিক নেতারা

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মো. রুবেল খানের আড়াই বছর বয়সী কন্যা রাফিদা খান রাইফা হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম দ্রুত শেষ করে চার্জশিট দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এ দাবিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিইউজে।

রোববার (১১ জুন) দুপুরে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানার কাছে এ স্মারকলিপি তুলে দেন সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাফিদা খান রাইফার বাবা ও সিইউজের সিনিয়র সহসভাপতি মো. রুবেল খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ, সিইউজের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরওয়ার কামাল, নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন হোসেন দুলাল, সিইউজে সদস্য ও দৈনিক আমাদের সময়ের ব্যুরোপ্রধান হামিদ উল্লাহ।

এসময় সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, মর্মান্তিক এ ঘটনার দীর্ঘ পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও মামলাটির তদন্ত এখনও ঝুলে আছে। এ মামলার তদন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।

আরও পড়ুন: এসপি নাইমার মামলায় বাবুল আক্তারকে রিমান্ডে নিতে পারবে না পিবিআই

এদিকে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বাদীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে পিবিআই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেন উপস্থিত সাংবাদিক নেতারা।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ জুন রাতে চট্টগ্রামের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা, অদক্ষতার কারণে রাফিদা খান রাইফা মারা যায়। এ ঘটনার পর রাইফার বাবা মো. রুবেল খান বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২০ জুলাই ৪ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন- ডা. বিধান রায় চৌধুরী (৫০), ডা. দেবাশীষ সেনগুপ্ত (৩২), ডা. শুভ্র দেব (৩২) ও ডা. লিয়াকত আলী (৫৭)।

পরে রাইফার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার তৎকালীন পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম ম্যাক্স হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম তদন্ত করেন। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি রাইফার মৃত্যুর জন্য চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা ও অদক্ষতাকে দায়ী করে তিন চিকিৎসককে অভিযুক্ত করে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপরিশ করেন। এছাড়া হাসপাতালের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা তুলে ধরেন। একইভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি হাসপাতালের ১১টি ত্রুটি চিহ্নিত করে। এরপর ম্যাক্স হাসপাতালে র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নানা অনিয়মের দায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!