৫ দিনে শুটারগান বানায় জাকেরুল্লাহ, দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্রের কারখানা

বাঁশখালীর দুর্গম পাহাড়ে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। এ সময় কারখানা থেকে ৮টি ওয়ান শুটারগান, ২টি টু-টু পিস্তল এবং অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় অস্ত্র তৈরির মূল কারিগর জাকেরুল্লাহকে (৫০)।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে বাঁশখালী নতুনপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জাকেরুল্লাহ বাঁশখালী থানার জঙ্গল চাম্বল এলাকার মৌলভী নুরুল হুদার ছেলে।

বুধবার (৩১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।

আরও পড়ুন: ৪ ঘণ্টা গোলাগুলির পর র‌্যাবের কব্জায় রোহিঙ্গাদের অস্ত্র কারখানা

র‌্যাব জানায়, প্রায় এক যুগ ধরে জাকেরুল্লাহ দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র কারখানা গড়ে তোলে। ওই কারখানায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির দেশীয় অস্ত্র তৈরি করতো। পরে তৈরি করা আগ্নেয়াস্ত্রগুলো জলদস্যু, ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতো।

প্রতিটি আগ্নেয়াস্ত্র ক্যাটাগরি অনুযায়ী ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এরমধ্যে ছোট ওয়ান শুটারগান অস্ত্র তৈরি করতে তার সময় লাগে ৫ থেকে ৬ দিন। কিন্তু অস্ত্র তৈরির মূল কারিগর জাকেরুল্লাহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়াতে মাঝে মাঝে কৃষি কাজেও নিয়োজিত থাকত।

আগ্নেয়াস্ত্রগুলো কারখানায় জাকেরুল্লাহসহ দুজন তৈরি করতো। অস্ত্র তৈরির কাঁচামালগুলো তারা স্থানীয় বিভিন্ন ওয়ার্কশপ থেকে সংগ্রহ করতো। এছাড়া তারা অস্ত্র তৈরির প্রধান কাঁচামাল হিসেবে বিভিন্ন সাইজের পাইপ ও লোহার টুকরা কিনত। পরবর্তীতে একটি অস্ত্রের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য তারা গ্রাইন্ডার মেশিন, ঝালাই মেশিন, ড্রিল মেশিন, হাতুড়ি, রড কাটার মেশিন ব্যবহার করতো।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, বাঁশাখালীর দুর্গম পাহাড়ে দেশীয় অস্ত্র তৈরি কারখানার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে দোচালা একটি ঘর থেকে দেশীয় অস্ত্র তৈরির মূল কারিগর জাকেরুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়। অস্ত্র কারখানা থেকে ১০টি দেশীয় অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, অস্ত্র তৈরির কারিগর হিসেবে জাকেরুল্লাহসহ দুজন কাজ করতেন। তারা অস্ত্রগুলো তৈরি করে জলদস্যু, ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতেন। এ কাজে যারা জড়িত আছেন তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এএইচ/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!