চট্টগ্রাম নগর পুলিশে কর্মরত তিন পুলিশ সুপারকে (এসপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খাগড়াছড়ির সন্তান পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তাও একই পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩১ মে) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাশ স্বাক্ষরিত দুটি আলাদা প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রামের চারজনসহ বাংলাদেশ পুলিশের ৪৬ পুলিশ সদস্যকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত আইজিপির পদোন্নতি পেলেন সিএমপির আলোচিত কমিশনার মাহাবুবর রহমান
পুলিশ সুপার থেকে অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন নগর পুলিশের (সিএমপির) উপপুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আমির জাফর। তিনি এর আগে সিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মানিকগঞ্জের সন্তান আমির জাফর চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে পদোন্নতি পেয়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দির সন্তান চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে কর্মরত পুলিশ সুপার মো. হাসান বারী নূরও। তিনি কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট স্কুল থেকে এসএসসি, ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন শেষে ২০তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেন। তিনি দারফুর এবং কঙ্গোতে দুদফায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া মিশনে থাকা সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার হাসান মো. শওকত আলীও পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি বর্তমানে দারফুরে কর্মরত আছেন। মিশনে যাওয়ার আগে তিনি সিএমপি কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের উপকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: ডা. রাব্বির পদোন্নতি, চট্টগ্রামের নতুন সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস
পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ির সন্তান পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরাও একই পদোন্নতি পেয়েছেন। এর আগে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করে ২০তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেন।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, মিশনে থাকা কর্মকর্তারা দেশে এসে মূল কর্মস্থলে যোগদানের পর তাদের পদোন্নতির আদেশ জারি করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর সরাসরি বা ই-মেইলের মাধ্যমে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের নতুন কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়ে চিঠি পাঠাতে হবে।
আরএস/আরবি