দলছুট বন্য হাতি বেপরোয়া—পিষে মারল ভিলেজারকে, ফিরছে না বনে

দলছুট বন্য হাতি তাড়াতে গিয়ে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মো. রহমত উল্লাহ (২৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে দলছুট বন্য হাতিটি চকরিয়া উপজেলার ভেওলা মানিকচর (বিএমচর) ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মধ্যবর্তী এলাকার খিলছাদকে তাণ্ডব চালায়।

নিহত মো. রহমত উল্লাহ ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রিংভং ছগিরশাহকাটা এলাকার আবদুস সালামের ছেলে। তিনি ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধীন ভিলেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বন্য হাতিটি বেশকিছু বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। এছাড়া ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।

আরও পড়ুন : ভেঙে ফেলেছে সীমানা প্রাচীর, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে তাণ্ডব চালাচ্ছে একদল বন্য হাতি

এদিকে দলছুট বন্য হাতিটিকে তাড়াতে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ ও বনবিটের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চকরিয়া থানা পুলিশের পৃথক টিম কাজ করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল হান্নান বলেন, ভোরের দিকে একটি দলছুট বন্য হাতি বিএমচরের পাহাড়িয়াপাড়ার সবজিক্ষেতে অবস্থান করছিল। সকালে কৃষকরা মাঠে গেলে বন্য হাতিটি দেখতে পায়। স্থানীয় উৎসুক জনতা এলাকায় হাতি এসেছে খবর পেয়ে ভিড় করে।

পরে খবর পয়ে সাফারি পার্ক, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ ও বনবিটের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতি তাড়ানো চেষ্টা করে।

এ সময় দলছুট বন্য হাতিটি তাড়ানোর জন্য বন বিভাগের ভিলেজার রহমত উল্লাহ খড়ে আগুন লাগিয়ে হাতির দিকে নিক্ষেপ করে। পরে হাতিটি ফিরে এসে ভিলেজার রহমতকে পা দিয়ে পিষ্ট করে আহত করে। বন বিভাগ ও পুলিশ দ্রুত উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিএমচরের বাসিন্দা ইমতিয়াজ আহমদ রাজিব বলেন, দলছুট বন্য হাতিটি সকাল থেকে এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। মানুষজন খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তা ভিলেজারদের নিয়ে হাতিটিকে বনে ফিরিয়ে নিতে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময়  দলছুট বন্য হাতিকে ফেরাতে গিয়ে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে বন বিভাগের ভিলেজার রহমত উল্লাহ মারা যায়। হাতিকে বনে ফেরাতে এখনও চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

মুকুল/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!