‘থামছে না অপকর্ম’—চট্টগ্রামের ১৮ আবাসিক হোটেল বন্ধ চান খোদ ওসি

অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে নগরের কোতোয়ালী থানা এলাকার ১৮টি আবাসিক হোটেলের লাইসেন্স বাতিল চেয়ে আবেদন করেছেন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল কবির।

গত ৭ জুলাই জেলা প্রশাসকের কাছে এ আবেদন করা হয়। আবেদনের কপি জেলা প্রশাসকক ছাড়াও পুলিশ কমিশনার, উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) ও সহকারী পুলিশ কমিশনারের (কোতোয়ালী জোন) কাছে পাঠানো হয়েছে।

হোটেলগুলো হলো— স্টেশন রোডের হোটেল গেইটওয়ে আবাসিক, হোটেল মেট্রো ইন, হোটেল গেস্ট ইন, ইকবাল বোর্ডিং, হোটেল গণি আবাসিক ও হোটেল ঢাকা আবাসিক, জহুর হকার্স মার্কেটের পাশে লয়েল রোডে হোটেল দরবার আবাসিক ও হোটেল আদর আবাসিক, ফিরিঙ্গিবাজার ব্রিজঘাট এলাকার হোটেল নেভাল আবাসিক ও হোটেল কর্ণফুলী আবাসিক, নন্দনকানন শিক্ষা অফিসের পাশে হোটেল মুসলিম আবাসিক ও হোটেল বিরাজ, বিআরটিসি এলাকার হোটেল সিলভার ইন ও হোটেল হিলটাউন আবাসিক, পুরাতন গির্জা সড়কের হোটেল লুসাই ইন, কে সি দে সড়কের হোটেল সাউদিয়া, লালদিঘির পাড় এলাকার হোটেল এস নাইট (সুপার হেস্ট হাউস) এবং রঙ্গম কনভেনশন হল এলাকার হোটেল ক্যামেলিয়া (হোটেল সম্রাট)।

আবেদনে ওসি উল্লেখ করেন, এসব হোটেল থেকে বেশ কয়েকবার নারী-পুরুষদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারদের বারবার অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থেকে লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী আবাসিক হোটেল পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে অসামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এজন্য হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি’।

এদিকে এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান জেলা প্রসাশক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, একটি চিঠি পেয়েছি। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখে তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যোগাযোগ করা হলে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহিদুল কবীর আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে এসব হোটেলে বারবার অভিযান চালানো হয়েছে। এরপরও অসামাজিক কার্যকলাপ রোধ করা যাচ্ছে না। তাই ১৮টি আবাসিক হোটেলের লাইসেন্স বাতিল চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছি।

আরএস/এনইউএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!