জেল থেকে বের হলেন আবছার, নতুন উদ্যমে আন্দোলন চালাবেন মেয়র রেজাউলের বিরুদ্ধে

সিটি মেয়রের মামলায় জেলে যাওয়া করদাতা সুরক্ষা পরিষদ সভাপতি ও সদরঘাট থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আবছার অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে তিনি হযরত শাহ আমানত (র.) মাজার জেয়ারত করেন। এরপর তিনি সুরক্ষা পরিষদের নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ এক বিশাল শোভাযাত্রা নিয়ে নগরের বিভিন্ন রাজপথ ঘুরে কদমতলীর বাসভবনে যান।

এর আগে হাইকোর্টের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন শেষে গত ২৮ নভেম্বর তিনি চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জহিরুল কবিরের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তবে আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে কারাগার থেকে ঘরে ফিরে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, মেয়র সাহেব আপিলের ফাঁদ পেতে নগরবাসীর ঘাড়ে ঘর ভাড়ার ওপর গৃহকর স্থায়ীভাবে বসাতে চাচ্ছেন। চট্টলার মানুষ এসব আপিল-আপিল খেলা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ঘর ভাড়ার ওপর করা করবিধি বাতিল করে আগের নিয়মে আয়তনের ভিত্তিতে গৃহকর নিতে হবে। যদি তা না হয় বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি মানতে মেয়রকে বাধ্য করা হবে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসায় আমি কারামুক্ত হয়েছি। এই নগরের মানুষের জন্য আমি শতবার জেলে যেতে প্রস্তুত। আমাদের আন্দোলন এখন থেকে নতুন উদ্যমে চলবে।

নুরুল আবছার নগরের সদরঘাট থানাধীন কদমতলী এলাকার আবুল খায়ের মেম্বার বাড়ির হাজী আবুল খায়ের মেম্বারের ছেলে। তিনি ২৯ নম্বর পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ খ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এবং সদরঘাট থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের ব্যানারে নগরের পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকায় সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে তিনি অশ্লীল ভাষায় বক্তব্য দেন। পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে মেয়রের পিএস মো. মোস্তফা কামাল চৌধুরী দুলাল বাদী হয়ে নগরের চান্দঁগাও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!