জিতল নৌকার মাঝি—আলমগীরই চকরিয়ার মেয়র

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত পৌরসভার পঞ্চম নির্বাচনে বেসরকারিভাবে পৌরমেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী, বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী। এ নিয়ে তিনি টানা দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হলেন।

ইভিএম পদ্ধতিতে চকরিয়া পৌরসভায় অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ হয়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ।

বিজয়ী নৌকা প্রতীকের আলমগীর চৌধুরী ১৮টি কেন্দ্রে ভোট পেয়েছেন ২১ হাজার ৭৮৭টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নাগরিক কমিটির ব্যানারে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জিয়াবুল হক। তিনি ভোট পেয়েছেন ৯ হাজার ৮৮৬টি।

এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন রাশেদা বেগম, ফোরকানা আরা বেগম ও আঞ্জুমান আরা বেগম। কাউন্সিলর পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. নুরুস শফি, ২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. সাইফুল ইসলাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে হানিফ ইসলাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জাফর আলম কালু, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ফোরকানুল ইসলাম তিতু, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দু সালাম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল আমিন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মুজিবুল হক ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বেলাল উদ্দিন।

আরও পড়ুন : অস্ত্র উঁচিয়ে মার খেল ইউপি মেম্বার, রক্তাক্ত ৩ জনকে পুলিশে দিল জনতা

সরেজমিন দেখা গেছে, নির্বাচন চলাকালে সকাল সাড়ে ৯টায় হালকাকারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ কেন্দ্রে ১০টা পঞ্চাশ মিনিটে ১২টি বুথে ৪ হাজার ২৫৬ ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ১৪৫ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন বলে জানান কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, কেন্দ্রের বাইরে সামান্য হইচই হলেও ভোটার লাইনের মধ্যে কড়া নিরাপত্তার কারণে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল।

সকাল ১১টা ও দুপুর দেড়টার দিকে ১ নম্বর ওয়ার্ডের আল রায়ান মাদ্রাসা কেন্দ্রের বাইরে দুই দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মাস্টার টিটু সুশীল বলেন, কেন্দ্রের বাউন্ডারির বাইরে দু’বার হইচই শোনা গেলেও ভোটার লাইনসহ কেন্দ্রে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। ভোট প্রয়োগ ছিল স্বাভাবিক।

বিজয়ের পর নৌকার প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী বলেন, এ জয় আমার নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জয়। এ জয়, ধারাবাহিক উন্নয়নের জয়। এ জয় পুরো চকরিয়া পৌরসভার আপামর জনগণের জয়।

তিনি আরো বলেন, প্রথম শ্রেণীর এ পৌরসভায় টানা পাঁচ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে উন্নয়নের মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন করেছি। আমি বা আমার পক্ষ থেকে কোনো ব্যক্তি পৌরসভার কোনো শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে অসদাচরণ করেনি। দলমত নির্বিশেষে সবাই উন্নয়নের সফলতা ভোগ করার পাশাপাশি শান্তিময় পরিবেশে বসবাস করতে পেরেছিল। তাই আমাকে তথা আওয়ামী লীগের নৌকাকে পুনরায় বিপুল ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমার চেষ্টা থাকবে, উন্নয়নসহ নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পৌরসভার সকল স্তরের মানুষের মনে স্থায়ীভাবে ঠাঁই করে নেওয়া।

মুকুল/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!