মোখার আঘাতে দেশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জনপদ সেন্ট মার্টিন। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র বাংলাদেশে শুধু এ দ্বীপটির ওপর দিয়েই গেছে। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে চেনা সেন্ট মার্টিন এখন অচেনা। নারকেল গাছগুলোর মাথা ভাঙা, মাটির সঙ্গে মিশে গেছে ঝুপড়ি ঘরগুলো, ভেঙে গেছে আধা পাকা ঘরও।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, পুরো দ্বীপে ১ হাজার ৯০০টির মতো ঘরবাড়ি আছে। মোখার আঘাতে ৭০০টির মতো কাঁচা ও ঝুপড়ি ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত। ৩০০টির মতো ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। ভেঙে গেছে অসংখ্য গাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দোকানপাট, হোটেল, রিসোর্ট, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ।
দ্বীপের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সেন্ট মার্টিনে এখন অজস্র সংকট। সৌরবিদ্যুতের আলো পাওয়া যাচ্ছে না, জেনারেটর চালানোর মতো জ্বালানি তেলও নেই, রয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকটও।
এদিকে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেন্ট মার্টিনের যেসব ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে সেগুলোর তালিকা করা হচ্ছে। আজ (মঙ্গলবার) থেকে পুনর্বাসনের কাজ শুরু হবে। আর যাদের ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের নগদ অর্থসহায়তা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করা হয়েছে।
আলেকিত চট্টগ্রাম